এখনো নিখোজ রয়েছে ইফতেখার আহমেদ ওয়াজিদ নামে ১২ বছর বয়সী এই শিশুটি । বেঁচে আছে না কি নেই, সেটা এখনো স্পষ্ট নয় । প্রশাসনের সকল সংস্থা কাজ করছে আন্তরিকতার সাথে । যা এলাকার সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করলেও সন্তান হারানোর পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে আছে পরিবেশ। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া । ভবনটি নির্মানের ক্ষেত্রে সদর উপজেলার ভুমি কর্মকর্তাসহ তহসিলদারের নানা দূর্ণীতিকে দায়ী করছে এলাকাবাসী । যাদের তদারকী না থাকা ও ঘুষ লেনদেনের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অনেকেই দাবী করেছেন
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্রা ও সদর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা বাবুরাইল তাতীপাড়ায় চার তলা ভবন ধ্বসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন তার অধিনস্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আক্তারকে আহ্বায়ক এবং আরো চার জনকে সদস্য করে এই কমিটি গঠন করেন।
আগামী পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে এই কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন জানিয়েছেন, ভবন ধ্বসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
৩ নভেম্বর বিকেল চারটার দিকে আকস্মিকভাবে এক নং বাবুরাইল মুন্সিবাড়ি এলাকার এমএইচ ম্যানশন নামে চার তলা ভবনটি একদিকে কাৎ হয়ে খালের উপর ধ্বসে পড়ে। এ ঘটনায় শোয়েব নামে ষষ্ঠ শ্রিণির এক স্কুল ছাত্র নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ওয়াজিদ নামে আরও এক স্কুল ছাত্র।
ওই ভবনের নিচ তলার ফ্ল্যাটে আরবি পড়ে গিয়েছিলো ওয়াজিদ। এরপর ধ্বসে পড়ে ভবনটি। এ ঘটনায় ওয়াজিদের খালাতো ভাই শোয়েবকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে, সন্ধান পাওয়া যায়নি ওয়াজিদের। ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি ধ্বসে পড়া ভবনটির ভেতরেই আটকা পড়েছে।
এদিকে ভবন ধ্বসের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ওয়াজিদকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়াতে সে জীবিত আছে কিনা এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিখোঁজ ইফতেখার আহমেদ ওয়াজিদ (১২) এক নং বাবুলাইল এলাকার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম রুবেলের ছেলে। এবং বেপারি পাড়া এলাকার সানরাইজ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে ভবনটিকে ঘিরে এখনও রয়েছে উৎসুক মানুষের ভিড়। ঘটনাস্থলে নিখোঁজ ওয়াজিদের মা-বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনও রয়েছে। ওয়াজিদের বাবা-মায়ের আত্মচিৎকারে ঘটনাস্থলে গুমোট পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাদের আহাজারিতে পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
Discussion about this post