স্টাফ রিপোর্টার :
”যিনি রাঁধেন তিনি চুল ও বাঁধেন” এমন প্রবাদ যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার থাকলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে কোন যথার্থ প্রবাদ আজো পাওয়া যায় নাই। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে কঠিন মেধাবী, কর্মঠ, পরিশ্রমী ও যোগ্যতার দিক দিয়ে অনেক জ্ঞানী গুণীকে নানাভাবে সম্মানিত করা হয়।
তেমনি এক কর্মঠ, মেধাবী যোগ্যতার দিক দিয়ে সকলের কাছেই সমানতালে এগিয়ে আছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। তিনি নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর একের পর এক চমক দেখিয়ে সকলকে আকৃষ্ট করে তুলছেন। নারায়ণগঞ্জের কঠিন সমস্যার মধ্যে শহরের ফুটপাত, শহরের জুয়া, মাদকসহ অনেক সমস্যা সমাধান করে চমক দেয়ার পর এবার এই প্রথম সকল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ফুটবল প্রীতিম্যাচে নিজে অংশগ্রহণ করে নিজ বাহিনীর সদস্যদের মাঝেও উদহারণ সৃষ্টি করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক সদস্য আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আমার চাকুরী জীবনের অনেক সময় কম করে হলেও ১০ জন পুলিশ সুপারের অধিনে কাজ করেছি। অধিকাংশ পুলিশ সুপারগণই নানাভাবে শুধু কাজের বিষয়েই চাপ দিতেন। কিন্তু এবারই প্রথম দেখলাম নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ আামদের পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের পাশাপাশি সকলকে নিয়ে আনন্দ দিতে ফুটবলের প্রীতিম্যাচের আয়োজন করেছেন। এটা আনন্দের বিষয় সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য। এ যেন আরেক ব্যতিক্রম পুলিশ সুপার। যার সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছুই বলেছেন কিন্তু বাস্তবতায় এসপি হারুন এক ভিন্ন মানুষ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন মাঠে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ সম্পর্কে পুলিশের ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ রুমন জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার দল ও অপারেশন দল হিসেবে দুটি ফুটবল টিম গঠন করে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে । ১৬ জানুয়ারী শনিবার বিকেল ৫টায় এই প্রীতি ম্যাচে পুলিশ সুপার দল ৩ -০ গোলে জয়ী হয়েছে । মূলতঃ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধুদ্ধ করতেই পুলিশ সুপার মহোদয়ের আন্তরিকতায় এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু অবসাদ নিতেই এই আয়োজন বলে মন্তব্য করেন সাজ্জাদ রুমন।
Discussion about this post