নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও এবার আওয়ামীলীগের এক নেতার দালাল হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে দল থেকে বহিস্কার ও চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবী তুলেছে শাসক দলেন অনেকেই । জেরা ও মহানগল আওয়ামীলীগের অনেকে নেতা কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে এতোটাই বিষ্বাস করছে শাসক দলের সংসদ সদস্যরা যার কারণে দীর্দিন যাবৎ সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ করছেন বিএনপির এই নামধারী দালাল নেতা । “তিনি গাছের আগার টাও (ফল) খান আবার তলার (নীচের) টাও কুড়ান !” এমন মন্তব্য নেতাকর্মীদের
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের এমন দলালীর ঘটনায় অনেকে আওয়ামীলীগ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান জীবদ্দশায় জেরা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রকাশ্যেই পা ধরে ছালাম করতে কে না দেখেছে । আবার নাসিম ওসমান মারা যাবার পর এখন শামীম ওসমানের দালালী করতে যা যা করতে হবে তাই করছে এই কুখ্যাত দালাল । এই আবুল কালাম আজাদের কারণে সদর উপজেলার কোন নির্বাচন হচ্ছে না । আবার এই পদে থেকে সরকারী গাড়ীসহ সরকারের নানা সুবিধা নিচ্ছে বিতর্কিত এই আবুল কালাম আজাদ । যাকে খোজ কাশিপুরের ঝোলাপাড়ার এলাকাবাসী ই দেখতে পারেন না । আর নিারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রায় সকল নেতাদের চোখেই তিনি চরমভাবে বিতর্কিত ।
এবার আবারো তিনি প্রমাণ করলেন, তিনি শামীম ওসমানের সাচ্চা একজন কর্মী । এই তিনি আর কেউ নন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য কুসিদজীবি শাহ আলমের সম্বন্ধি এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস ।
বিএনপির ‘ওয়ানম্যান শো’ এই নেতা ৭ সেপ্টেম্বর এসেছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ শামীম ওসমানের জনসভায়। তবে তিনি বিএনপির সভা সমাবেশ বা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে একা একা এলেও এদিন কিন্তু একা আর আসেননি। সাথে নিয়ে এসেছিলেন গুটি কয়েক কর্মী সমর্থকও ।
আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে সাংসদ শামীম ওসমানের জনসভাতে উপস্থিত হতে দেখে অনেকেই এ নিয়ে মুখরোচক অনেক মন্তব্য করেন এবং অনেকেই আজাদ বিশ্বাসকে দালাল হিসেবেই আখ্যা দেন।
অন্যদিকে শামীম ওসমানের জন সমাবেশে বিএনপি নেতা আজাদ বিশ্বাসের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপির মধ্যেই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । জেরা বিএনপির অনেক নেতা আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে বহিস্কারের দাবি তুলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ গণমাধমকে বলেন, এগুলো নিয়ে আমরা অনেকবারই কথা বলেছি। এসব আমরা পছন্দ করি না। নেতাকর্মীরাও এসব পছন্দ করে না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে যা করণীয় তা করার জন্য কাজ করছি । কেন্দ্রও তাদের ব্যাপাগুলো ভালো জানে। তারাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
বিএনপির পদ বহন করে শামীম ওসমানের জনসভায় জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও থানা বিএনপির আহ্বায়ক আজাদ বিশ্বাসের উপস্থিতিকে ‘নৃশংস তামশা’ হিসেবে উল্লেখ করে জেলা বিএনপির অনেক নেতারাই বলেছেন, এদের বিরুদ্ধে দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করাকে কোনো কিছুই মনে করে না। এরা নির্লজ্জ, বেহায়া। এদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তির দাবি জানাই।
দলীয় সূত্র থেকে আরো জানা যায়, বিএনপির পদ ব্যবহার করলেও আজাদ বিশ্বাসকে দলীয় কর্মসূচি তেমন একটা দেখা না গেলেও শামীম ওসমানের সভা সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত দেখা যেত। বক্তব্যও রাখতেন তিনি। এরমধ্যে একবার কমান্ডার গোপিনাথ তার বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কুকুর বলে সম্বোধন করেছিলেন। ওই সভা মঞ্চে আজাদ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাইক হাতে সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজেকে শামীম ওসমানের কর্মী হিসেবেও তিনি দাবি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিজের কোন যোগ্যতা না থাকার পরও ভগ্নিপতি বিএনপির নির্বাহী সম্পাদক শাহ আলমের বৌদলতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। পরবর্তীতে এই তিনিই জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হোন শাহ আলমেরই আশির্বাদে।
Discussion about this post