নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপেডেট :
জেলার সদর থানা এলাকার ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়কের গোগনগর বাজারে প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চাপায় ভায়রা ভাই মো.জামাল ও মো. মাসুদ নামে দুজন নিহিত হয়েছে । এ ঘটনায় দীর্ঘ৬ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ করে এলাকাবাসী । এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় গোগনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই কাভার্ডভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় চালক। পরে এলাকাবাসী প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির দুটি কাভার্ডভ্যান আটকে রাখে এবং সড়কে আগুন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে ।
ঘটানর ৬ ঘন্টা পর ১১টায় ক-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এ সময় তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে সড়কের যানচলাচল স্বাভাবিক করেন। পরবর্তীতে তিনি নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে এবং নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে শান্তনা প্রদান করে বিচারের আশ্বাস দেন।
নিহতরা হলেন, গোগনগর উত্তর মশিনাবন এলাকার মো. ভাসানী সরদারের ছেলে মো. জামাল ও ঢাকা কামরাঙ্গি চর এলাকার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, ভোর ৬টায় প্রিমিয়ার সিমেন্টের একটি কাভার্ডভ্যান পিছন থেকে অটোরিকশাটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যায় চালক জামাল হোসেন। গুরুতর মাসুদ মিয়াকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পরিবারের সূত্রে জানা যায়, নিহত জামাল একজন ইজিবাইক চালক ছিলেন। গত সপ্তাহে তার ভায়রা মাসুদ ও তার পরিবার ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ আসে জীবিকার তাগিদে। মাসুদ চেয়েছিল ইজিবাইক চালানো শিখতে। এ লক্ষ্যে সোমবার ভোরে তারা ইজিবাইক নিয়ে বের হন। এমন সময় একটি বেপরোয়া প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, `আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জামাল ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মাসুদ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহতদের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।`
Discussion about this post