স্টাফ রিপোর্টার :
তাহলে কে হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ? কোন মহিয়সী নারীর ললাটের সমানে ঝুলছে সংসদ সদস্যের মুকুট ? কে পাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার সংরক্ষিত নারী আসনের চেয়ারটি ? যার কারণে জাতীয় পাটির প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের সহধর্মী পারভীন ওসমান কে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রদান করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নরায়ণগঞ্জের ভোটারদের মাঝে ।
গত ৯ জানুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হলেন ১. পারভীন ওসমান (নারায়ণগঞ্জ), ২. ডা. শাহীনা আক্তার (কুঁড়িগ্রাম), ৩. নাজমা আখতার (ফেনী), ৪. মনিকা আলম (ঝিনাইদহ)। এই চারজনের নাম উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এমন ঘটনার এক মাসের মধ্যে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সোমবার জাতীয় পাটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দলীয় ৪ জন প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে। তালিকায় পারভীন ওসমানকে বাদ দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামসহ চারজন মনোনয়ন দিয়েছেন । অন্য তিনজন হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন আরা মান্নান, মাসুদা এম রশিদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নাজমা আখতার।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৪ মার্চ। মনোনয়ন দাখিল ১১ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বন্টন করা হয়। প্রতি ৬টি আসনের বিপরীতে যে কোনো দল বা জোট একটি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার ৫০টি সংরক্ষিত আসন বন্টন করা হয়ে থাকে।
পারভীন ওসমানকে বাদ দেয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে নারায়ণগঞ্জজুড়ে ।
Discussion about this post