করোনা মোকাবিলায় জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর কিংবা নারায়ণগঞ্জে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ধর্মীয় এ উৎসবের ক্ষেত্রে এটি অবাস্তব উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনলাইনে পশু বেচাকেনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন স্থানে গরুর হাট বসবে। তবে, এ সিদ্ধান্তে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা টেকনিক্যাল কমিটির।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে গরুর হাট না বসানোর সুপারিশ করে শনিবার (১১ জুলাই) এভাবেই সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়া হয় করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কারগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে। অন্যান্য স্থানে হাট বসানো হলেও শহরের মধ্যে হাট না বসানোর সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু পরামর্শক কমিটির সুপারিশ সত্বেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বল্প পরিসরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, হাট না বসাটা অবাস্তব। তবে মানুষকে উৎসাহিত করছি অনলাইনে গরু-কেনাবেচা করার জন্য। কিন্তু এরপরেও যেসব হাট খুলতেই হবে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে।
তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা নারায়ণগঞ্জের মতো শহরে করোনাকালে গরুর হাট হতে পারে মরার ওপর খাড়ার ঘা। যা চলমান করোনা সূচককে আবারো উর্ধ্বমুখী করার শঙ্কা জাতীয় পরামর্শক কমিটির।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির একজন বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা নারায়ণগঞ্জ গরুর হাট না বসানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অনলাইন পদ্ধতিতে ২০ থেকে ২৫ লাখ গরু বেচাকেনার মতো অবস্থা নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
Discussion about this post