এনএনইউ রিপোর্ট :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের শাসক জোট আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা মনোনয়ণ ফরম সংগ্রহ করার পর এবার বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা শুরু করেছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে। ফলে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠের গরম হাওয়া। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। মূলতঃ জেলার ৫টি নির্বাচনী আসনে কার সাথে কার ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা হতে যাচ্ছে তা নিয়েও চলছে নানা হিসেব নিকেষ। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, জমা, যাচাই, বাছাই, প্রতীক বরাদ্ধ ও সর্বশেষ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত নানা চমকের জন্য অপেক্ষা করছে ভোটারগণ।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে নানা নাটকীয়তার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ৬৩ জন নেতাকর্মী এবং জাতীয় পার্টির আরো কয়েকজন নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তফসিল ঘোষনার পর নারায়ণগঞ্জের নানা রাজনৈতিক চমকের পর এবার আরো চমক নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাস্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে চমক সৃস্টি হয় । এছাড়াও সদর আসনে প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের সহধর্মীনী পারভীন ওসমান মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলে আরেকটি চমকের সৃস্টি হয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবীর মুখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ২৩ তারিখের পরিবর্তে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত দিয়ে পূনঃ তফসিল ঘোষনার পর শাসকদল আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি নানা বিষয় নিয়ে দও কষাকষি শুরু করেছে। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকটি দল বিএনপির সাথে আসন নিয়ে দরকষাকষির সুযোগ থাকছে। ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর সাথে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির কোন কোন নেতা নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন তা এখনই সঠিকভাবে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েক দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ শহরের এসএম মালেহ রোড এলাকায় গণফোরামের এক নেতার বাসভবনে সোমবার বিকেলে সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের নের্তৃত্বে এক বঠৈক হয়েছে বলে ব্যাপক গুঞ্জন ছিলো শহরজুড়ে। নির্বাচনী কলা কৌশল নির্ধারণ করতে জেলার ভিবিন্ন এলাকায় এমন বৈঠক হবে বলেও জানা যায়। ফলে মূহুর্তে মূহুর্তে চমক থাকছে বলেও জানিয়েছেন সকল দলের নেতাকর্মীরা।
Discussion about this post