এনএনইউ রিপোর্ট :
অবশেষে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষনায় নড়েচড়ে বসেছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা । ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষনা দেয়ার সাথে সাথে পালটে যায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট । বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ -৫ ( সদর বন্দর) এবং নারায়ণগঞ্জ ৪ ( ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ ) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দুটি আসনেই শক্ত প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন সাবেক দুই তুখোড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এসএম আকরাম ও গিয়াস উদ্দিন । এমন গুঞ্জন পুরো জেলায় ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে । যদিও বিএনপি ইতিমধ্যেই সারাদেশে ১০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কোন প্রার্থীর নাম নেই ।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, নির্বাচনী পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে জেলার রাজনীতিতে অনেক খেলা দৃশ্যমান হবে। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটাতে জেলা আওয়ামীলীগের বিশাল এওকটি অংশের সাথে আতাত করে নির্বাচনী বৈতরনী পাড়ি দিতে ইতিমধ্যেই ছক আকতে শুরু করেছে । এমন আশংকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরাম ও গিয়াসউদ্দিন নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী লড়াই চালাতে জেলার দ্বায়িত্ব নিচ্ছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রটি আরো জানায়, নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দেশের ১০০ প্রার্থী ইতিমধ্যেই ঠিক করা আছে । তবে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে থাকছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা এসএম আকরাম ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন । দুইজন সাবেক এই সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে খুব সক্রিয় ছিলো এবং আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কলাকৌশল তাদের ভালো জানা আছে বলেই তাদেরকে এমন দায়িত্ব দেয়া হবে বলে আলোচনা চলছে ।
আর বিএনপির চূড়ান্ত হওয়া তালিকায় থাকা ১০০ আসন হচ্ছে— ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির (পঞ্চগড়-১), ফরহাদ হোসেন আজাদ (পঞ্চগড়-২) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঠাকুরগাঁও-১), শামসুজ্জামান (নীলফামারী-২), আসাদুল হাবিব দুলু (লালমনিরহাট-৩), এমদাদুল হক ভরসা (রংপুর-৪), অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী (কুড়িগ্রাম-২), ফয়সাল আলিম (জয়পুরহাট-১), প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা (জয়পুরহাট-২), হারুনুর রশিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), ব্যারিস্টার আমিনুল হক (রাজশাহী-১), মিজানুর রহমান মিনু (রাজশাহী-২), অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (নাটোর-২), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (সিরাজগঞ্জ-২), আবদুল মান্নান তালুকদার (সিরাজগঞ্জ-৩), হাবিবুর রহমান হাবিব (পাবনা-৪), মাসুদ অরুণ (মেহেরপুর-১), মেহেদী আহমেদ রুমি (কুষ্টিয়া-৪), শামসুজ্জামান দুদু (চুয়াডাঙ্গা-১), মাহমুদ হাসান বাবু (চুয়াডাঙ্গা-২), মশিউর রহমান (ঝিনাইদহ-২), তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ ইসলাম অমিত (যশোর-৩), টি এস আইয়ুব (যশোর-৪), নিতাই রায় চৌধুরী ( মাগুরা-২), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা-২), রফিকুল ইসলাম বকুল (খুলনা-৩), আজিজুল বারী হেলাল (খুলনা-৪), হাবিবুল ইসলাম হাবিব (সাতক্ষীরা-১), অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (বরগুনা-২), এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাব হোসেন চৌধুরী (পটুয়াখালী-১), এ বি এম মোশাররফ হোসেন (পটুয়াখালী-৪), মেজর (অব.) এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ভোলা-৩), নাজিম উদ্দিন আলম (ভোলা-৪), মজিবর রহমান সরোয়ার (বরিশাল-৫), ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১), ফকির মাহবুব আলম স্বপন (টাঙ্গাইল-১), লুত্ফর রহমান আজাদ (টাঙ্গাইল-৩), লুত্ফর রহমান মতিন (টাঙ্গাইল-৪), সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (টাঙ্গাইল-২), অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী (টাঙ্গাইল-৬), মাহমুদুল হক রুবেল (শেরপুর-৩), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (ময়মনসিংহ-১), ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন (ময়মনসিংহ-৪), এ কে এম মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ-৫), আখতারুল আলম ফারুক (ময়মনসিংহ-৬), মাহবুবুর রহমান লিটন (ময়মনসিংহ-৭), শাহ নূরুল কবির শাহীন (ময়মনসিংহ-৮), ফকরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু (ময়মনসিংহ-১১), ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (নেত্রকোনা-১), ড. ওসমান ফারুক বা তার সহধর্মিণী (কিশোরগঞ্জ-৩), অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জ-৪), শরিফুল আলম (কিশোরগঞ্জ-৬), আফরোজা খান রিতা (মানিকগঞ্জ-৩), আমানউল্লাহ আমান (ঢাকা-২), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ঢাকা-৩), সালাউদ্দিন আহমেদ (ঢাকা-৫), নাসিমা আক্তার কল্পনা (ঢাকা-৭), হাবিব-উন-নবী খান সোহেল (ঢাকা-৮), মির্জা আব্বাস (ঢাকা-৯), এমএ কাইয়ুম (ঢাকা-১১), এসএ খালেক (ঢাকা-১৪), ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (ঢাকা-১৯), শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), একেএম ফজলুল হক মিলন (গাজীপুর-৫), খায়রুল কবীর খোকন (নরসিংদী-১), ড. আবদুল মঈন খান (নরসিংদী-২), আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম (রাজবাড়ী-১), শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু (ফরিদপুর-২), সেলিমুজ্জামান সেলিম (গোপালগঞ্জ-১), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (গোপালগঞ্জ-২), হেলেন জেরিন খান (মাদারীপুর-২), শফিকুর রহমান কিরন (শরীয়তপুর-৩), কলিমুদ্দিন আহমেদ মিলন (সুনামগঞ্জ-৫), তাহসিনা রুশদির লুনা (সিলেট-২), নাসের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), প্রকৌশলী খালেদ মাহবুব শ্যামল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন (কুমিল্লা-১), শওকত মাহমুদ (কুমিল্লা-৫), আমিন উর রশিদ ইয়াসিন (কুমিল্লা-৬), জাকারিয়া তাহের সুমন (কুমিল্লা-৮), আবুল কালাম (কুমিল্লা-৯), আ ন ম এহছানুল হক মিলন (চাঁদপুর-১), শেখ ফরিদউদ্দিন আহমেদ মানিক (চাঁদপুর-৩), হারুনুর রশিদ (চাঁদপুর-৪), ভিপি জয়নাল আবেদীন (ফেনী-২), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ফেনী-৩), ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), জয়নাল আবেদীন ফারুক ( নোয়াখালী-২), বরকত উল্লাহ বুলু ( নোয়াখালী-৩), মো. শাহজাহান ( নোয়াখালী-৪), ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (নোয়াখালী-৫), শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী (লক্ষ্মীপুর-৩), এম মোরশেদ খান (চট্টগ্রাম-৭), ডা. শাহাদাত হোসেন (চট্টগ্রাম-৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (চট্টগ্রাম-৯), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১০), জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫), সালাহউদ্দিন আহমেদ (কক্সবাজার-১), লুত্ফর রহমান কাজল (কক্সবাজার-৩), আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া (খাগড়াছড়ি) এবং সাচিং প্রু জেরী (বান্দরবান)।
Discussion about this post