মোবাইল কোর্টের অভিযান আসবেই ৷ মহৎ এই ব্যবসাটি প্রায় সকল ওষুধ ব্যবসায়ী ই অসাধু পন্থায় জোটবদ্ধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অসৎ ব্যবসার কারণে সমিতির কথিত নেতাদের নির্দেশ মতে সকল দোকানী দুই লাখ টাকা করে মজুদ রাখে প্রশাসনিক ঝামেলা মিটানোর জন্য !
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শহরের কালিবাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রির অপরাধে ১ জনকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ৮ ফার্মেসিকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক, আবদুল মতিন, নাছরীন আক্তার ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।
অভিযানে কালিবাজার এলাকার নুরুল মেডিকেল কর্নার, রাজু মেডিকেল কর্নার, হাসান ফার্মেসি, হক ফার্মেসিসহ মোট ৮টি ফার্মেসিকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নুরুল মেডিকেল কর্নারের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ফার্মেসিগুলো মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল্য স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় ও বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় এ জরিমানা আদায় করা হয়।
ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার পাইকারী ওষুধের বাজার হিসেবে পরিচিত শহরের কালীর বাজারে কয়েক শত দোকানীদের মধ্যে প্রায় সকলেই মহৎ এই ব্যবসার অন্তরালে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছে সারা বছরজুড়ে ৷ কোন না কোন ছলছুতো পেলেই ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করে ভোক্তা সাধারণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে সব সময় । আর এমন অপরাধ কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে সব সময় দুই লাখ টাকা মজুত রাখে পৃথকভাবে । ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা প্রশাসনিক যে কোন ঝামেলা থেকে প্রাথমিকভাবে রক্ষা পেতে এই দুই লাখ টাকা সকল দোকানীদের মজুদ রাখতে কথিত কালীরবাজার ওষুধ সমিতি নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ওষুধ ব্যবসায়ী ।
নাম প্রকাশ করার অনুরোধে কালীরবাজারের এই ওষুধ ব্যবসায়ী আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীকে একেবারেই জিম্মি করে ফেলেছে অধিকাংশ অসাধু ব্যবসায়ী ও কথিত সমিতির নেতারা । বিশাল চাদাবাজি ও ধান্ধাবাজি করে ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা একেকজন আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন । আর এই অসাধু চক্রকে নানাভাবে সহায়তা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তারা । যার কারনে কেউ এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করে না ।
Discussion about this post