নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন,সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ভোট কেটে নেয়া হলো , আপনারা কেউ প্রতিহত করলেন না কেন ? দলের পক্ষ থেকে আপনাদের কি কেউ আপনাদের বাধা দিয়েছে । বরং আপনাদেরকে বারবার ফোন করে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিতে বলা হয়েছে । আপনাদের নামে মামরা রয়েছে । আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা কে আছে যার নামে মামলা নাই । আামাদের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা, মহাসচিবের বিরুদ্ধে ৮০টির বেশি মামলা রয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও ৭০টির বেশি মামলা রয়েছে। আগে কোন ঘটনা ঘটলেই শুধু মামলা দেওয়া হতো। আর এখন কোন কিছু না করেই বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গায়েবী মামলার আসামী হচ্ছে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির ১০ লাখ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজরুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎসজীবী দলের সভাপতি প্রয়াত ইব্রাহিম সরদারের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার চায় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। দল এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের কথা বলা হলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। শুধু তাই নয় বেগম জিয়ার পরিবার তার চিকিৎসার ব্যয়বহন করে চিকিৎসার কথা বলার পরেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। তিনি বলেন, কারাবন্দি অবস্থায় অনেক নেতা নেত্রীর চিকিৎসা হয়েছে। এক এগারোর সরকারের সময় কারাবন্দি শেখ হাসিনার চিকিৎসা হয়েছে স্কয়ার হাসপাতালে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তার চিকিৎসার কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এভাবে চলতে থাকলে তিনি বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে পারেন।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের উদ্বৃতি দিয়ে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, গত সাড়ে ৩ মাস বেগম খালেদা জিয়ার কোন চিকিৎসা না হওয়ায় তার হার্ট, লিভার ও কিডনী কেমন আছে সেটি আমরা জানি না। সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেরন, হয় আমাদের মাকে (বেগম খালেদা জিয়া) মুক্তি দিন, নতুবা সবাইকে মায়ের কাছে যেতে দিন।
স্মরণ সভা কমিটির আহবায়ক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম, মৎসজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক নাদিম চৌধুরী, সদস্য সচিব আবদুর রহিম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ অনেকেই।
Discussion about this post