স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জের জুয়া নিয়ে হাজারো কেলেংকারীর পর জেলা পুলিশ সুপার সাড়াসী অভিযান চালিয়ে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেফতারের পরও টনক নড়েনি জুয়ার সম্রাট হিসেবে পরিচিত শাহজাহানের । শহরের কালীরবাজার, টানবাজারের ইয়ার্ণ মার্চেন্ট, বাসষ্ট্যান্ডের জুয়া উচ্ছেদ ও গ্রেফতারের পর শাহজাহান শহরের গুলশান সিনেমা হলের কালচারাল ক্লাব ভাড়া নিয়ে ফের জুয়া চালু করার পায়তারায় ব্যর্থ হয়ে মহানগরীর জালকুড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলে । এই আস্তানায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হানা দেয় পুলিশ ।
নারায়নগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার সেই জুয়া সম্রাট শাহজাহানের নতুন জুয়ার আস্তানা থেকে ৩ জুয়াড়ীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, শ্যামল বৌদ্ধ., হাবিবুর রহমান ও আলাউদ্দিন।
নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকা থেকে তাদের টাকাসহ আটকের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রাজ্জাক জানান, কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধানের সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ৩ জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার জুয়াড়ী। তবে জুয়ার প্রকৃত মালিক রুবেলকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করছে বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মীর শাহিন শাহ পারভেজ।
মামলার পর আসামীদের আদালতে পাঠানোর পর জুয়া আইনে আদালত জুয়ারীদের জামিন প্রদান করেছে ।
শাহজাহানের এমন জুয়ার আস্তানায় হানা দেয়ার ঘটনায় শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । অনেকের দাবী পুরানো গডফাদারদের সহায়তায় ফের শাহজাহান জালকুড়িতে জুয়ার আস্তানা গড়ে তুলেছিলো । এখান থেকে উচ্ছেদের পর আবার ভিন্ন কোন স্থানে এমন কর্মকান্ড করবেই । জেলার এই জুয়ারীদের সম্রাট ও তার গডফাদারদের আটক করলেই বন্ধ হবে এমন কর্মকান্ড ।
Discussion about this post