নারায়ণগঞ্জ সদর থানার প্রতিটি টহল টিম কে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অংকের ও মাস শেষে ফুটপাতে চাঁদাবাজির একটি বৃহৎ অংশ থানার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মাঝে বন্টন করায় কোন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে না পুলিশ ! শহরের প্রতিটি লাইনম্যান এভাবেই নেতা, বিশেষ পেশার ও পুলিশকে ম্যানেজ করে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় নির্ভরশীল একটি সুত্র ।
নানা কৌশলে এমন চাঁদা আদায় ও বন্টনের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে এই সূত্র টি
আর এমন নির্বিঘ্নে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকাসহ মো. আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস (৩০) নামের এক চাঁদাবাজকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব.।
শনিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া সাত টার দিকে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের সরকারি গণগ্রন্থাগার, র্যাব কার্যালয়সহ জেলা শহরের মসজিদ, বাজার ও আইনজীবীদের অসংখ্য দপ্তরের এমন ব্যস্ততম এলাকায় চাঁদাবাজিকালে গ্রেফতার হয় আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস (৩০) ।
এমন গ্রেফতারে মাত্র দুইদিনের মধ্যে ১৬ মার্চ মংগলবার নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বদরুজ্জামানের আদালত চাঁদাবাজ আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাসের জামিন মঞ্জুর করে।
দুপুরে আদালত কর্তৃক জামিন মঞ্জুরের পর বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই কোন ধরনের কালক্ষেপণ না করে শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকার চাঁদাবাজির মূল হোতা সোহেলসহ তার সহযোগীদের সাথে প্রকাশ্যেই শহরের মাসদাইর এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত গোপন বৈঠক করতে দেখা যায় ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে মাসদাইর এলাকার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ফুটপাতের হকার মহসিনের পুত্র এবং মাসদাইর এলাকার ইমান আলীর মেয়ে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসতি করে চাঁদাবাজী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সোহেল ।
কুখ্যাত চাঁদাবাজ সোহেল দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি চালিয়ে বীরদর্পে শহরের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, বিশেষ পেশার নামধারীদের ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাঝে চাঁদাবাজির অর্থ বন্টন করায় এবং উচ্ছিষ্ট ভোগীদের ছত্রছায়ায় এমন অপরাধ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ।
র্যাব দীর্ঘদিন পরে হলেও চাঁদাবাজকে গ্রেফতার হলেও পুলিশ এখনো মুল হোতা সোহেল ও তার শেল্টারদাতাদের গ্রেফতার করে নাই । অথচ এই চাঁদাবাজ প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও খোদ পুলিশের সদস্যরা চাঁদাবাজ সোহেল কে সার্বক্ষণিক সকল তথ্য দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে বলেও জানায় শহরের শায়েস্তা খান সড়কের হকারদের কেউ কেউ ।
Discussion about this post