বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণিল আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বপ্নের শেখ রাসেল নগর পার্ক পার্কের মূল অংশ (সবার জন্য উন্মুক্ত), মুক্ত মঞ্চ, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে গাছের শাখা প্রশাখা কিছুই বাদ পড়েনি।
তাই ব্যস্ত নগরবাসী সারদিনের ক্লান্তি দুর করতে আর প্রশান্তির শ্বাস ফেলতে ঝাঁকে ঝাঁকে জড়ো হচ্ছেন শেখ রাসেল নগর পার্কে।
বিনোদনের জগতে নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের আক্ষেপ। কারণ ভালো মানের ঘুরতে যাওয়ার স্থান বা সময় কাটানোর জন্য শহরের কাছে কোন জায়গা নারায়ণগঞ্জবাসীর ছিল না। বিনোদনের সেই খড়া মেটাতে অবতারের মত আবির্ভাব হয়ে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সিদ্ধান্ত নেন ‘শেখ রাসেল নগর পার্ক’ নির্মাণের জন্য। ধনী জেলা নারায়ণগঞ্জবাসীর পার্কটি এতটাই পছন্দ হয়েছে যে নির্মাণাধীন অবস্থাতেই রাজধানী ঢাকার ‘হাতিরঝিল’ এর সাথে তুলনা দিতে থাকে অনেকে। তবে এই তুলনা একেবারে বাড়িয়ে বলা হয়েছে এমনটাও বলা যায় না।
১৫ মার্চ সোমবার সন্ধায় শেখ রাসেল নগর পার্কে সরেজমিনে দেখা যায় অন্য রকম এক পরিবেশ। এমনিতেই মানুষের আগানোনা লেগে থাকলেও শেখ রাসেল পার্ক নতুন রূপে সাজার পর থেকে লোক সমাগম আরো বেড়েছে। যে তালিকায় বাদ পড়েনি শিশু, কিশোর, যুবক, নারী-পুরুষ কেউ। অনেকে আবার পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তবে আনন্দের সাথে অনেকে হতাশাও প্রকাশ করেছেন। কারণ, পার্কের শুধু একাংশই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বিনোদন প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী যে কোনো বিনোদন মাধ্যমকে আদরে গ্রহণ করে নিতে পটু। তাই দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনেক বেশি সমৃদ্ধ। সেই জেলার মানুষগুলো এমন একটি মনোরম জায়গা পেয়ে কতোটা আনন্দিত তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। তাই এমন একটি জায়গা পেয়ে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেরি করেনি।
Discussion about this post