নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এইযে মশার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এটা কিন্তু শুধু শুধু হয় না। এটা বুঝতে হয়। এটা যারা না বোঝেন তাদের একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে যেতে হবে। যদি মনে করেন, এটা শামীম ওসমানের ঈদের জামাত। ওস্তাগফিরুল্লাহ! এটা আমার ঈদের জামাত না।’
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ইসদাইর এলাকায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত ঈদ জামাতের মাঠ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান আরো বলেন, আশা করেছিলাম বৃহত্তর ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কিছু একটা ব্যবস্থা করবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় গত তিনটি ঈদ জামাতের ব্যাপারে কিছুই করেনি সিটি কর্পোরেশন। এটি করার দায়িত্ব ছিল সিটি কর্পোরেশনের। সিটি কর্পোরেশন যদি এ কাজে এগিয়ে না আসে তবে সবার সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে বৃহত্তর ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব আমি। আমি হয়তো একদিন থাকব না। কিন্তু পরবর্তী জেনারেশন যেন এটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পাশেই একটা মসজিদের জামাত ছিল আটটায়। এখানে নামায হবে বলে সাড়ে সাতটায় করে দিলো। এটা নিয়েও যদি রাজনীতি করে তাহলে কীভাবে হবে? আল্লাহর কাছে কীভাবে মাফ চাইবো?’
তিনি বলেন, শামসুজ্জোহা ঈদগাহকে মক্কা-মদিনার আবহে তৈরি করা হয়েছে, যেন এখানে নামাজ পড়তে এসে মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। পুরো ঈদগাহজুড়ে কোরআন-হাদিসের আয়াত জুড়ে দেয়া হয়েছে।
আগামীতে এখানে মা-বোনদের জন্য ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হবে। আলেমদের সঙ্গে আলোচনা করে ধর্মীয় নীতি অনুসারে আগামীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের নামাজের জামাত যত বড় হবে সওয়ার তত বেশি হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জেলার সবাই যাতে একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পারি সেজন্য এ আয়োজন।
রোজার ঈদের জামাতে এখানে দেড় লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটেছে। এখন মা-বোনেরা দাবি জানিয়েছেন তারাও ঈদের নামাজের জামাতে শরিক হতে চান।
শামীম ওসমান বলেন, বায়তুল মোকাররম, জাতীয় ঈদগাহ ও মক্কাতে যদি নারী-পুরুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন তাহলে এখানে হবে না কেন। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চাই। সোমবার সকাল ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউস উর রহমান ও দেওভোগ মাদরাসা মসজিদের খতিব মুফতি হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
Discussion about this post