দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ ইট ভাটার মালিকদের নিয়ে বৈঠকের পর ব্যাপকভাবে সামেলাচনার ঝড় উঠেছে সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকায়। শতাধিক ইটভাটার মালিক কোন ধরণের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর যাবৎ অসাধু কর্মকর্তা ওপ্রভাবশালীদের মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে ধ্বংস করে যাচ্ছে পরিবেশ । আর এখন এই বৈঠক হলো আই ওয়াস । যারা বৈঠক করলেন তারা কি ভদ্রলোক ? উচ্চ আদালতের আদেশের পর এমন বৈঠক সত্যিই হাস্যকর বলে কঠোর ভাষায় মন্তব্য করেছেন ইটভাটার এক মালিক । তিনি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, প্রতিটি ইটভাটা থেকে নিম্নে ৫ লাখ টাকা করে চাঁদাবাজি করে ! এই টাকা কে নেয় ? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সবই ভন্ডামী বলে মন্তব্য করেন এই ইটভাটার মালিক
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রন, সনাতন পদ্ধতির ইট ভাটাকে আধুনিক পদ্ধতিতে রূপান্তর শর্ত মেনে ভাটা পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে ইটভাটা মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ ও উদ্যেক্তাদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বক্তাবলী খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থানীয় চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে বক্তাবলী ও এনায়েতনগর ইউনিয়নের ইটভাটার মালিকদের নিয়ে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সাঈদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: মইনুল হক, ফতুল্লা থানা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, ইটভাটা ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান, হাজী সামেদ আলী, হাজী আব্দুর রহিম, আবুল কাশেম, তৈয়ব আলী, খবির উদ্দিন, আব্দুল আলিম, মহিউদ্দিন, মাসুম প্রমুখ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সাঈদ আনোয়ার বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া কোন এবং সরকারী আইনকে মেনে নিয়ে এবং পরিবেশ দুষন যাতে না সেইসব নিয়ম মেনে ইটভাটা ভাটা পরিচালনা করতে হবে। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রন করতে হবে এবং সনাতন পদ্ধতির ইট ভাটাকে আধুনিক করতে হবে। ইটভাটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং শিশু, গর্ভবতি মহিলা দিয়ে কাজ করানো চলবে না। পরিবেশ দূষণ করছে এমন কোন ইটভাটা চালাতে পারবে না। উচ্চ আদালতে যে রায় দিয়েছে সেটাকে সম্মান দিয়ে আমাদের সবাইকে চলতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটা গুলো উচ্ছেদসহ জরিমানা করা হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছি পরিবেশ দূষণকারী কোন ইটভাটাকে ছাড় দেয়া হবে না।
কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে ইট ভাটার এক মালিক প্রতিবেদককে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সকল ব্যবসায়ীরাই লাভের আশায় ব্যবসা করতে আসেন । আর এই ইটভাটার ব্যবসায়ীরা পরিবেশ ও রাজনৈতিক কর্তাদের নির্যাতনে কতটা অতিষ্ট তা গভীরে গিয়ে তদন্ত না করলে জানাই জাবে না ইট ভাটা নিয়ে কি পরিমাণ অপকর্ম করছে সংশ্লিষ্টরা । ( এমন মন্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে )
Discussion about this post