এনএনইউ রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের টর্চার সেলে দুই যুবককে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দুই নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
১১ জানুয়ারি রাতে কুতুবপুরের শাহীমহল্লা মুসলিমপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, নাটের গুরু আলাউদ্দিন হাওলাদার এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ।
ফতুল্লার এই টর্চার সেলের মূল হোতা গ্রেফতার না হওয়ায় পুরো কুতুবপুরে ব্যাপক চাউর হয়েছে, থানা পুলিশের পক্ষ থেকেই আওয়ামীলীগ নেতা ও টর্চার সেলের মূল হোতা আলাউদ্দিন হাওলাদারের মুঠোফোনে ফোন করে মামরার খবর জানিয়ে দিয়ে পালিয়ে থাকার পরামর্শদিয়েছে । সেই মোতাবেক আদালত থেকে জামিন নেয়ার পরামর্শদিয়েছে পুলিশ । এ্মন খবর এলাকায় ব্যাপকভাবে চাউর হওয়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে ।
মূল হোতা আলাউদ্দিন হাওলাদার গ্রেফতার না হলেও তার সহযোগ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য কুতুবপুর শাহী মহল্লা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে রবিন এবং একই এলাকার শফিকুর রহমানের চেলে ইউনুছ কে পুলিশ আটক করায় জনমনে সমালোচনার পরও স্বস্ত নেমেে এসেছে । তারা দুজনই আলাউদ্দিন হাওলাদারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বলে কথিত রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩১ ডিসেম্বর কুতুবপুরে আলাউদ্দিন হাওলাদারের অফিসে নাঈম ও রাতুল নামে দুই যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিত নাঈমের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে ১০ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপর এদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে রবিন ও ইউনুছকে গ্রেফতার করা হয় ।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নির্যাতনের মূল হোতা কুতুবপুর দুই নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলাউদ্দিনকে মামলার প্রধান আসামী করা হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না । বরং এই আওয়ামী লীগ নেতাকে এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরতে দেখেছেন অনেকে । তাই ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার সুবাদে পুলিশ তাকে ছাড় দিচ্ছেন !
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর শাহী মহল্লা এলাকা থেকে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বিদেশী জাতের ছাগল চুরি হয়। এ ঘটনায় ৩১ ডিসেম্বর মুসলিমপাড়া এলাকার রাতুল ও নাঈম নামে দুই যুবককে ধরে আনা হয় কুতুবপুর দুই নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারের অফিসে। এখানে এই আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে তারই সামনে ওই দুই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় ১০ জানুয়ারি নির্যাতনের শিকার যুবক নাঈমের মা নাজমা বেগম আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ফতুল্লা মডেল থানায়। তবে, এ মামলায় এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন নাটের গুরু আলাউদ্দিন হাওলাদার ।
Discussion about this post