নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নিজ দলীয় নেতা যারা শুদ্ধি অভিযানে গ্রেফতার হচ্ছে তা নিয়ে বিব্রত নন শামীম ওসমান। বরং তিনি গর্ববোধ করেন মন্তব্য করে বলেছেন, আমি একজন আইনের ছাত্র হিসেবে কাউকে অপরাধি বলতে পারি না। অপরাধি কে, তা নির্দিষ্ট করবে কোর্ট।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বেসরকারি চ্যানেল ডিবিসির রাজকাহন শিরোনামের ‘শুদ্ধি অভিযান : ত্যাগী বনাম হাইব্রিড’ শীর্ষক রাজনৈতিক বিষয়ক টক-শো’তে উপস্থিত হয়ে ওই কথা বলেন শামীম ওসমান।
এতে সাংসদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, তৈমূর আলম খন্দকার, এবং আবদুল ওয়াদুদ দারা।
শামীম ওসমান বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের নিয়ে আমি কেন বিব্রত হবো? বরং আমি গর্ববোধ করি। কারণ, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন অপরাধ হচ্ছে তাই তিনি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে কে আত্মীয় আর কে অনাত্মীয় তা তিনি দেখছেন না।
জয়নাল আবেদীন ফারুকের কথা সূত্র ধরে তিনি বলেন, ক্যাসিনো দুর্ণীতির মধ্যে পরে তা আমি বলবো না। আমি মনে করি, এই ক্যাসিনোর যন্ত্র কীভাবে আসলো? এই দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এতিমের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগে জেল খাটছেন। এটা কিন্তু আদালত রায় দিয়েছে।
শামীম ওসমান বলেন, যে অভিযান চলছে তার জন্য কি আমাদের বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের উচিৎ ছিলো না আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একটা ধন্যবাদ দিক? পৃথিবীর সব জায়গাতেই দুর্ণীতি হয়। কোথায় হয় না? তবে, দেখার বিষয় হচ্ছে সে আইনের আওতায় আসে কিনা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে অভিযান শুরু করেছেন সেটা বহাল থাকবে। তবে, কষ্ট এখানেই তাকে কি একটা ধন্যবাদ আমরা জানাতে পারলাম না!
ভাতিজা আজমেরী ওসমানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়নি দাবি করে শামীম ওসমান বলেন, এখানেই হয়েছে মিডিয়ার সমস্যা। সে বাড়িতে কোনো অভিযান চালানো হয়নি। আমি ভীত নই। কে ভাতিজা আর কে ভাতিজা নয় সেটা বড় কথা নয়।
তিনি বলেন, আমার তিন পুরুষ রাজনীতি করা মানুষ। একটি ধনী পরিবারের ছেলে আমি। তারপরও আমরা একবেলা খেয়েছি আরেক বেলা খাইনি। যখন দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছিলাম। বলতে লজ্জা নেই যে বাথরুমও পরিস্কার করে খেয়েছি।
Discussion about this post