# সেক্টরের সাথে জড়িত বিশেষ পেশার লোকজন’
# কতিপয় পুলিশ সদস্যের সুবিধা নেয়ার অভিযোগ
# ঝুট সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে এসপির হস্তক্ষেপ কামনা
ফতুল্লায় দিন কে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। বিসিক এলাকাজুড়ে ক্রমসই বাড়ছে তাদের প্রভাব। ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রকমত ওরফে কাইল্লা রকমত, জুয়েল, জাকারিয়া জাকির, মিজান ওরফে বড় মিজান, ছোট মিজান ও পাভেলসহ বেশ কিছু গ্রুপের জড়িত থাকার অভিযোগ বেশ পুরনো।
প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে ধারাবাহিক অপকর্ম করে চলেছে সংঘবদ্ধ গ্রুপটি।
সম্প্রতি, তাদের অত্যাচারে মুখ খুলতে শুরু করেছে নিরূপায় গার্মেন্টস মালিকগণ। যদিও পুলিশ বলছে, ঝুট সন্ত্রাসজনিত বিষয়ে কারও অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তারা। তবে সূত্র বলছে, বিদেশী বায়ার ও ব্যবসা ঠিক রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নারাজ বিসিক শিল্প অধ্যুষিত এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দিনকে দিন রমরমা হয়ে উঠেছে এই ব্যবসা। এরমধ্যে, ছোট-বড় ও মাঝাড়ি আরও অনেকেই রয়েছে। এদের প্রত্যেকের নেতৃত্বে রয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জন ঝুট সন্ত্রাসী। অভিযোগ উঠেছে, এসব বিষয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা বরাবরের মতোই নিরব। যদিও ওসি বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে যেই হোক ।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী মহলের নাম বিক্রির পাশাপাশি বিশেষ পেশার লোকজনও জড়িত এই সিন্ডিকেটের সাথে। মূলহোতাদের প্রত্যেকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। পাশাপাশি ১০টি করে নিটিংয়ের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতেই।
সূত্র বলছে, প্রত্যেকটি গার্মেন্টস থেকে মাসে ঝুট নিয়ন্ত্রণ বাবদ প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা। সেই হিসেবে মাসে প্রায় এক কোটি টাকার ব্যবসা হয় শিল্প অধ্যুষিত বিসিক এলাকায়। বছরে যার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় কমপক্ষে ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও প্রতিটি নিটিং বাবদ লক্ষাধিক টাকা ব্যবসা করে থাকেন ঝুট সন্ত্রাসীরা। প্রতিমাসে এসকল নিটিং থেকে ১০ লক্ষ, বছরে এক কোটি টাকা আয় হয় ঝুট সন্ত্রাসীদের।
অন্যদিকে ঝুট সন্ত্রাসীদের দাবি, সব সেক্টর ম্যানেজ করেই তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি মাসের আয় থেকে পুলিশ ও কথিত সাংবাদিকদের পকেটে একটি অংশ আর কিছুটা যায় রাজনীতিবিদদের হাতে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিটি সেক্টর নিয়নন্ত্রণের জন্যে বেতনভুক্ত কর্মচারী রয়েছে তাদের। একইসাথে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যার যার নিয়ন্ত্রণাধীন ফ্যাক্টরিগুলো পরিদর্শন করে থাকে তারা। যাতে করে মালিকপক্ষের লোকজন পরিত্যক্ত কাপড় অন্য কোথাও বিক্রি করতে না পারে।
এ বিষয়ে বেশ ক’জন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যার্ডাড অনুযায়ী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে মাল উৎপাদন করতে হয়। পণ্যের গুণগতমান রক্ষায় আমরা সর্বদা চেষ্টা করে থাকি।
অনেক সময় নিটিং, ডাইং প্রসেসিং করে তারপরে ফ্যাক্টরিতে আনার পাশাপাশি বিদেশী বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী মাল উৎপাদন করতে হয়। এরমধ্যে, ব্যাংক লোন রয়েছে। অনেকসময় আমরা ইচ্ছে করলেও পরিত্যক্ত মাল ইচ্ছেখুশী অনুযায়ী বিক্রি করতে পারি না। কারণ যারা এই মালের ব্যবসার সাথে জড়িত তারা এতোটাই উগ্র এবং উশৃঙ্খল যে, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না পেলে তারা যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তাছাড়া যেহুতু আমাদের ব্যবসা বিদেশী বায়ারদের সাথে সেহুতু আমরা কোন ঝামেলায় যেতে চাই না। কারণ এসব বিষয় বায়ারদের কানে গেলে আমাদের ব্যবসার সমস্যা হবে। কখনো তারা তাদের ভাইয়ের নাম ভাঙায় আবার কখনো চাচার নাম বলে থাকে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ঝুট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যদি কারও অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে আমার থানায় আসার জন্যে আমি আহবান জানাই। যে যেই ভাইয়ের লোক হোক না কেনো, অপরাধীর ছাড় নেই। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন সংবাদ পচারের পর একটি মূখপাত্র ব্যবহার করে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা সাবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফতুল্লার বিসিক এলাকার এমন কান্ডে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জের অনেক গণমাধ্যম কর্মী বলেন, “কি যে হচ্ছে এই নগরীতে যা দেখার কেউ নাই । একজন মাষ্টার নামধারী প্রতারক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্যে এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায় । অথচ এই প্রতারক কোথায় মাষ্টারী করেছেন তা কেউ দেখেন নাই, জানেন ও না । আবার কোথায় তিনি সাংবাদিকতা করেছেন তাও কেউ জানেন না। কোন পত্রিকায় কোন সংবাদ প্রকাশ করেছেন বা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে তাও কেউ জানেন না । অথচ তিনি মাষ্টার আবার সাংবাদিক নাম দিয়ে প্রতারনা করেই যাচ্ছেন এই বরিশাইল্লা বৃদ্ধ প্রতারক।
Discussion about this post