সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে মজুতকৃত প্রায় ৪৯ লাখ টাকার খেজুর উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় স্টার মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজের দুটি প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোপলিটনের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম। এ সময় ভোক্তা অধিকারের নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোপলিটনের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ওই কোল্ড স্টোরেজে তারিক হোসেনের মালিকানাধীন মৌসুমী এন্টারপ্রাইজে ১৪ মেট্রিক টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুত করা ছিল। যার আনুমানিক মূল্য ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এই খেজুরগুলোর ২০২১ সাল পর্যন্ত মেয়াদ ছিল। ভুয়া স্টিকারের মাধ্যমে এর মেয়াদ বাড়িয়ে এগুলো বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
অন্যদিকে জিলানীর মালিকানাধীন মদিনা এন্টারপ্রাইজ থেকে মজুতকৃত ১৭ মেট্রিক টন খেজুর উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬০ টাকা বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে সংকট সৃষ্টি করে তারা এই খেজুরগুলো বাজারজাতকরণ করতে চেয়েছিল। আমরা খেজুরগুলো সিল করে দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ মে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরামের যৌথ মালিকানাধীন আদর্শ কোল্ড স্টোরেজ থেকে ৫২৮ টন পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়েছিলো। জব্দ করা খেজুরের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুদ ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় রামিশা এন্টারপ্রাইজকে ৭৫ লাখ, আল্লাহর দানকে ৭৫ লাখ ও শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজকে ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও আদর্শ কোল্ড স্টোরেজের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও ওই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে ।
Discussion about this post