ভুল চিকিৎসায় নিয়ে সারা দেশে যখন তোলপাড় চলছে এমন সময়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার আল-হেরা নামের একটি ক্লিনিকে মোস্তাকিম (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে শহরের খানপুর এলাকায় ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তাকিম সদর উপজেলার বক্তাবলীর মধ্যনগর এলাকার রমজান আলীর ছেলে।
এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) খানপুর এলাকায় আল-হেরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মোস্তাকিমকে। সেখানে তার টনসিল অপারেশন করা হয়। রোববার সকালে এসে তার মরদেহ অপারেশন কক্ষে (ওটিতে) দেখতে পায় পরিবার।
নিহতের বাবা রমজান আলী বলেন, ‘বাচ্চার টনসিলের অপারেশন করেছে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাতে অপারেশন হলেও সকালে আমরা হাসপাতালে এসে ওটি রুমে দেখি ছেলেকে রাখা। তখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তবে সে কোনো সাড়াশব্দ করছিল না। এসময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক, নার্সকে আমরা খুঁজে পাইনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
তবে হাসপাতালের মালিকপক্ষের কবির নামের একজন বলেন, ‘স্বজনদের ভুলের কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু এটা টনসিলের অপারেশন ছিল, তাই রোগীর স্বজনদের বলা হয়েছিল, তরল খাবার ছাড়া অন্য কোনো খাবার যেন না দেয়। স্বজনরা সকালে তরল খাবারের সঙ্গে কেক খাওয়ায়। যে কারণে শিশুটির শ্বাসনালির কোনো এক জায়গায় খাবার আটকে যায় এবং দম বন্ধ হয়ে মারা যায়।’
শিশু মোস্তাকিমের এমন মৃত্যুর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস মৃধা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবশেষ রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে নিহতের একজন স্বজন নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে জানায়, ‘থানা থেকে বলা হয়েছে, মামলা করলে শিশুর লাশ কাটা ছেড়া করবো । অনেক ঝামেলা তাই কোন মামলা করবো না বলে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে মোস্তাকিমের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে বাড়ী নিতে আবেদনে স্বাক্ষর করে পরিবার। এরপরে লাশ নিয়ে বক্তাবলী চলে আসে রমজান আলী। লাশ সন্ধ্যার পর বক্তাবলি মধ্যনগর ফকিরবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হবে।
Discussion about this post