অসম সম্পর্কের বলি হয়েছে ফতুল্লায় নিপা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত নিপা আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার সাজেদ খানের মেয়ে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আজিবুর রহমান (২৩) কে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। নিহতের স্বামী আজিবুর রহমান পাবনা জেলার ভেড়া থানার পূর্ব শ্রিকন্ঠদিয়ার কালু শেখের পুত্র।
সে তার স্ত্রী কে নিয়ে ফতুল্লা থানার মুসলিমনগর মরা খালপাড় এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করতো এবং বিসিকের মার্টিন ডাইংয়ে কাজ করে আসছিলো।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার মুসলিমনগর মরাখাল পাড় এলাকায়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ রোববার ভোর সকাল সাড়ে পাঁচটায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কে আটক করে।
নিহতের স্বামী আজিবুর জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখে মুসলিমনগর মরাখালপাড় এলাকায় ভাড়া এসে বসবাস করেতে শুরু করে এবং বিসিকস্থ মার্টিন ডাইংয়ে কাজ করে আসছিলো। তাদের মধ্যে সম্পর্কের সূত্র ধরে ৬ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। নিহত নিপা আক্তারের এটি তৃতীয় বিয়ে।
প্রতিদিনের মতো সে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে আসে। রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১০ টার দিকে তারা একসাথে ঘুমিয়ে পরে। রাত তিনটার দিকে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা এবং বিছানায় স্ত্রী নেই। তখন সে বাথরুমে খোঁজ করে না পেয়ে ছাদে যায়। তখন সে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় তার স্ত্রীর দেহ। তখন সে দৌড়ে নিচে নেমে ডাক- চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করে তাদের সহোযোগিতায় তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নিপা আক্তার কে মৃত ঘোষনা করে। তবে কি ভাবে এ ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারছেনা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ভোর সকালে সাড়ে পাচটার দিকে পুলিশ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কে থানায় নিয়ে আসে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে বলে তিনি জানান।
Discussion about this post