রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ৪১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৩৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকি সাত জনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষ করা হচ্ছে।িএই
এই আগুনে নিহতদের তালিকায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জের ২ তরুণ-তরুণী। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড় পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত ও নারায়ণগঞ্জের পোশাক কারখানা রিয়া ফ্যাশনের মালিক কুরবান আলীর মেয়ে রিয়া।
শান্ত বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি করতেন। তারা দুই ভাই এক বোন। বাবা সৌদি আরব থাকেন।
অপরদিকে রিয়া খাতুন পড়াশোনা করতেন মালয়েশিয়ায়। শনিবার (২ মার্চ) ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। মালয়েশিয়ায় ফ্যাশন ডিজাইনিং এ পড়তেন রিয়া। শেষ সেমিস্টারের ছাত্রী। যাওয়ার দুই দিন আগে ভিকারুননেসা পড়ুয়া ছোট বোন আরিশা আর সিটি কলেজে পড়ুয়া খালাত বোন লিমুকে নিয়ে খেতে গিয়েছিলেন সেই ভবনে।
শান্ত হোসেনের মা লিপি আক্তার বলেন, আমার ছেলে কখনও ভিডিওকলে কথা বলতো না। গতকাল রাতে হঠাৎ সে ভিডিওকল দেয়। পরিবারের সবার খোঁজখবর নেয়। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি তোমার তোমার কিছু হয়েছে? সে কিছু হয়নি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে শুনি তার অফিসে আগুন লেগেছে।
শান্তর ভাই প্রান্ত হোসেন বলেন, রাতে মোবাইলে দেখি ঢাকার বেইলি রোডে আগুন লেগেছে। তখনই আমার হৃদয়ে নাড়া দেয় আমার বড় ভাই তো সেখানে চাকরি করে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়ের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। পরে তার সাথের একজনকে ফোন দিলে পুলিশ ধরে বলে মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। পরে সকালে মরদেহ নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
মেয়েকে হারিয়ে একেবারে নিস্তব্ধ রিয়া ফ্যাশনের মালিক কুরবান আলী। স্বজনরা জানান, কুরবান আলীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ের নামে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেই মেয়ে অকালে চলে গেলো।
Discussion about this post