বন্দরে ভাড়া বাড়িতে রান্না নিয়ে ঝগড়ার জেরে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার স্বামীকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বন্দরের লেজারার্স এলাকার একটি বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত দিপালি রানী দাসের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। নিহতের স্বামী শ্যামা দাসকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রায়ই দীপালির সাথে পাশের ভাড়াটিয়া ফরিদার ঝগড়া হয়। বুধবারও রান্না করা নিয়ে তার সঙ্গে নিহতের ঝগড়া হয়েছে। রাতে নিহতের মেয়েরা ঘরের দরজা খোলা রেখে তাদের আত্মীয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যায়। এ সময় ফরিদা তার ঘরে স্পিকারে উচ্চ ভলিউমে গান বাজিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে দিপালিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার স্বামীকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে ফরিদা পালিয়ে যায়।
শুক্রবার সকালে নিহতের মেয়ে ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে শ্যামা দাসকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাড়ির ভাড়াটিয়া ও কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। তবে ফরিদার স্বামী পলাতক আছেন।
নিহত দিপালী রানীর মেয়ে মলি বলেন, সকালে মাকে গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সেইসঙ্গে দেখি বাবা আহত অবস্থায় বেঁচে রয়েছেন। বাবা আমাদের হত্যাকারীদের বিবরণ দিয়ে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম ও তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
Discussion about this post