এবার কপালে হাত পরেছে চিহ্নিত রাজনীতিবিদ, চাঁদাবাজ, কথিত বিশেষ পেশার নামধারীদের পাশাপাশি পুলিশের অসাধু কর্মকর্তা ও ড্রাইভারদের।
যারা প্রতিদিন দফায় দফায় এই পুরো সড়ক দখল করে চাঁদাবাজি করতে একাধিক ছিচকে সন্ত্রাসীদের নিয়োগ দিয়ে ফায়দা হাসিল করতো ।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কের নাম শায়েস্তা খান রোড। যা নগরবাসীর কাছে পুরাতন কোর্ট এলাকা হিসেবে পরিচিত।
পুরাতন কোর্ট এলাকার এই সড়কে আছে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা গণগ্রন্থাগার, র্যাবের ক্যাম্প, প্রধান ডাকঘর।
একই সাথে আছে বেশ কয়েকটি ব্যাংকসহ বিপণি বিতান ‘ফ্রেন্ডস মার্কেট’।
কিন্তু সড়কটি দখল করে স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণ করে রেখেছিল হকাররা।
তাই সকাল থেকে রাত প্রায় ২৪ ঘন্টা যানজট ছিল এখানকার নিত্যসঙ্গী।
কিন্তু নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে গোল টেবিল বৈঠকের পর বদলে গেছে চিরচেনা সেই সড়কের চিত্র।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেই সড়ক দখলমুক্ত করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায় হকাররা স্থায়ীভাবে নির্মিত তাদের চৌকি আর চারপাশে ত্রিপল (তেরফাল) খুলে ফেলছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশের একটি টহল দল। সড়ক দখলমুক্ত হওয়ায় এখন আর কোন যানজট নেই সেখানে।
স্বস্তি ফেলছেন মার্কেটে আসা নারী ক্রেতা আর সড়ক ধরে হেঁটে যাওয়া পথচারীরা। এসময় তাদের অনেকেই জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে যেন পুনরায় সড়ক দখল না হয়ে যায় তার জন্য নিয়মিত নজরদারির তাগিদ দেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকে নগরীর শায়েস্তা খান সড়ক দখলমুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়ক দখলমুক্ত করা হবে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমন উচ্ছেদের ঘটনা সকল দখলদারদের ফোন করে চাঁদাবাজ সোহেল জানায়, ‘কয়েকদিন রেস্ট নেও, হেলাল স্যার কইছে কিছুদিন পর ঠিক হইয়া যাইবো । আপাতত মালামাল সড়াইয়া নেও !’
Discussion about this post