নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আমিন আবাসিক এলাকায় আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাঈম (১৭) নামে বখাটে এক কিশোরকে কুপিয়ে রক্ষাক্ত জখমের ঘটনার মামলায় ৫ কিশোর অপরাধীকে টর্চার করে কোর্টে প্রেরন করেছে পুলিশ।
রবিবার ২৮ জানুয়ারী দুপুরে উল্লেখিত আসামীদের কোর্টে প্রেরন করা হয়।
এ ব্যাপারে আহত নাঈমের খালা রিনা বেগম বাদী হয়ে গত শনিবার রাতেই ৯জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৪২(০১)২৪ ইং।
এর আগে গত শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী রাতে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমিন আবাসিক এলাকায় এক দল কিশোর সন্ত্রাসী মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে অপর একটি গ্রুপ এসে আমজাদ মিয়ার বাড়ির সামনে এসে আমিন আবাসিক এলাকার অখিল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বখাটে নাঈমকে বেধরক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ৭জন কিশোরকে আটক করে বন্দর ফাঁড়ী পুলিশে সোপর্দ করে। আহত কিশোর নাঈমকে স্থানীয়দের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এদিকে আটককৃতরা হচ্ছে আটককৃতরা হচ্ছে জুম্মন, নিরব, রাজন, রিয়াদ, মাওয়ান, সিমান্ত ও ইয়াসিন আরাফাত।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় কিশোর নাঈম জখমের ঘটনায় পুলিশ ৭জনকে আটক করলেও পরে দুই জন আসামী মারওয়ান ও সিমান্তকে ৪০হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় বন্দর ফাড়ীর এএসআই মনির। পরে আটককৃত জুম্মনসহ অন্যান্য আসামীদের বন্দর ফাড়ী পুলিশের একটি কক্ষে নিয়ে দারোগা মনির আসামীদের বেধরক পিটিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা আনতে চাপ দেয়। পরে দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় বাদী রিনা বেগমকে সাথে নিয়ে ওইদিন রাতেই থানায় গিয়ে আটককৃত হামলায় অভিযুক্ত ৫কিশোরসহ ৯জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা রুজু করে।
এ ব্যাপারে আমিন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে বন্দর ফাড়ীর কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্যের কারনে। তারা প্রতিদিন অভিযানের নামে আসামী ধরে আর টাকা পেলে ছেড়ে দেয়। বন্দর পুলিশ ফাড়ীর এমন কর্মকান্ডে সাধারন মানুষের কাছে পুলিশের আস্থা দিন দিন ফুড়িয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জনগনের সেবক থেকে ভক্ষকে পরিনত হচ্ছে। তাই আমরা পুলিশের ভাবমূর্তী যাতে ক্ষুন্ন না হয় এজন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার সাথে মুঠো ফোনে কথা বলা চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নাই।
Discussion about this post