বন্দরে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা করায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার বন্দরের বাগদোবারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মাহবুব হাসান পুষ্প (১৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী জানান, তার ভাতিজি বন্দর উপজেলার মদনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বন্দরের কেওঢালা পশ্চিমপাড়া এলাকার আবুল কালাম মিয়ার ছেলে মাহবুব হাসান পুষ্প স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করত।
গত শনিবার বিকালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুষ্প ভাতিজিকে রাস্তা থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী মুসলিমপাড়ার মো. সবির মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ৪ বন্ধুর সহযোগিতায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পুষ্পসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ভাতিজিকে উদ্ধার করে। পরে তার মুখ থেকে বিস্তারিত জেনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা করায় আসামিরা তার গলা চেপে ধরে মারধর করে। তাকে রক্ষায় পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এলে তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের মধ্যে তার ভাই উজ্জ্বল ও শাওনের অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে আসামিপক্ষের লোকজনের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এইচএম মাহমুদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামিপক্ষের লোকজন বাদীপক্ষের লোকজনকে ধাক্কাধাক্কি দিয়েছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post