বিএনপি সেনা সমর্থিত সরকারের হাতে রাস্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর প্রায় ১৭ বছর অতিবাহিত হলেও একনো বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে পারে নাই। বিএনপির অভ্যন্তরীর দ্বন্ধ যেমন প্রকট তেমনি সেই দ্বন্ধ প্রকাশ পায় মুহূর্তে মুহূর্তে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করে বলেই ।
যে কোন সভা সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচীতেই নিজেদের মধ্যে মারামারি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে । আর এমন ঘটনায় সরকার দলীয় রাজনৈতিক পক্ষ ফায়দা হাসিল করছে বিএনপির এমন নিজ নিজ দ্বন্ধের কারণে। এমন মারামারির ঘটনায় সরকার দলীয় বিশেষ করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি কে অসহিষ্ণু রাজনৈতিক দল হিসেবে টিপ্পনী কাটতেও বিন্দুমাত্র কালক্ষেপন করে না। আর এমন সুযোগ বিএনপির এই নেতাকর্মীরাই আওয়ামীলীগের হাতে তুলে দিচ্ছে বারবার । এমন টি ই আবারো ঘটিয়েছে চাষাড়া চত্তরে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের অনুগামীরা দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর উপর আক্রমন করেছে। প্রকাশ্য লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে চাষাঢ়া মোড়ে হৃদয় নামের একজনকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে প্রকাশ্য ওই তাণ্ডব চলে।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ওই ঘটনা ঘটায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে শহরের কিল্লারপুলে মহানগর যুবদলের একটি সভায় আসেন কেন্দ্রের দুইজন নেতা। সেখানে সিদ্ধিরগঞ্জের কমিটি নিয়ে বাণিজ্যকরণের অভিযোগ তুলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শেখ মুহাম্মদ অপু। এ নিয়ে সেখানে মন্তু ও সজলের অনুগামী শহীদুল্লাহ প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে অপু, হৃদয় ও তার লোকজন চাষাঢ়া এলাকাতে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চলে। হৃদয়কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটুনী দেওয়া হয়। হামলাকারীদের হাতে ছিল লাঠিসোটা ও অস্ত্র।
পরে অপু তার লোকজন আবার সিদ্ধিরগঞ্জ যাবার সময়ে কিল্লারপুলে সজলের অনুগামীদের হাতে দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Discussion about this post