ফতুল্লায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনায় বাবা-মায়ের পর মেয়ে সোনিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে।
বুধবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনিয়া আক্তারের (২৫) মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে তার মা বুলবুলি বেগমের।
সোমবার সন্ধ্যায় সোনিয়ার বাবা সালাম মণ্ডলের (৫৫) মৃত্যু হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন- গার্মেন্টস কর্মী টুটুল (২২) ও মেহেজাবিন (৭)। টুটুলের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মেহেজাবিনের দগ্ধ হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত সোনিয়ার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
সোনিয়া স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্বামীর নাম মো. সেলিম মিয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দিয়াঘাট গ্রামে।
মৃত সালামের ফুফাতো ভাই মো. আবিদ বিশ্বাস বলেন, সোমবার ভাইকে দাফন দিয়ে এসে পাই ভাবীর মরদেহ। বিনা ময়নাতদন্তে ভাবির মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামের বাড়িতে স্বামীর কবরের পাশে দাফন দেয়া হবে তার স্ত্রীর। এরইমধ্যে এলো আরও এক মৃত্যুর সংবাদ।
তিনি আরও বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসার খরচ চলছে স্বজনদের সহায়তায়। হাসপাতাল থেকে কিছু ঔষধ দেয়া হয় বাকিগুলো কিনতে হয় বাইরে থেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় ঘটনার দিন রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে বাসার সবার শরীরে আগুন দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
Discussion about this post