কথায় আছে জোর যার মুল্লুক তার ! এমন প্রবাদ উচ্চারণ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর ভুক্তভোগীদের অনেকেই নানাভাবে সমালোচনা করে ধিক্কার জানিয়েছেন উচ্ছদ অভিযানকে ।
জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একযোগে রেলওয়ের জমির উপর প্রায় শতাধিক কাচাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেওে প্রভাবশালীদের বিশাল বিশাল প্রাচীর অক্ষত থাকায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণের সামনেই প্রশ্নবিদ্ধ উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন নারী পুরুষ অনেকেই।
এ সময় রেলওয়ের ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শফি উল্লাহর নেতৃত্বে বুধবার (৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঠানটুলী এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সামিউল কাদের খান জানান, শহরের চাষাঢ়া থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা সড়ক নির্মাণের জন্য রেলওয়ের কাছ থেকে ইজারা মূল্যে জায়গা বরাদ্দ পায় নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ। ২০১৯ সালে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ইতিমধ্যে প্রায় বিরানব্বই শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়।
তবে হাজীগঞ্জ থেকে পাঠানটুলী পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমটিার জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠায় সড়কটি সংকুৃচিত হয়ে পড়ে এবং নির্মাণ কাজে বাধাগ্রস্ত হয়। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানটি সম্পূর্ণভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করেছে। জেলা প্রশাসন এবং আমরা তাদের সহায়তা করেছি। অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করায় সড়ক নির্মাণের কাজ আরও দ্রুত গতিতে চলবে। আমরা আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো।
এমন উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কঠোর ভাষায় অনেকেই বলেন , আজ বিবেকবান লোকজন কোথায় ? সকলেই ম্যানেজ ! আমাদের কাচাপাকা স্থাপনা ভেঙ্গে গুটিয়ে দিচ্ছে অথচ নীট কনসার্ণ গার্মেন্টসের দখলে থাকা পুরো রেললাইনের উপর বিশাল প্রাচীর এই উচ্ছেদ অভিযানের লোকজন স্পর্শও করে নাই। এর কারণ কি বড় বড় নেতা, জেলার বড় বড় কর্মকর্তারা নাকি এই গার্মেন্টস থেকে নানাভাবেই সুবিধা নেয় । যার কারণে এই আশিংক উচ্ছদ অভিযান হচ্ছে । চাষাঢ়া থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা সড়ক নির্মাণের কাজ শুরুর আগ থেকেই নীট কনসার্ণ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ সকল পক্ষসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মূল রেললাইন ঢেকে দিয়ে বিমাল প্রচীর নির্মাণ করেছে ।
যা উচ্ছেদ অভিযানে এসেও দেখে না অভিযানকারী দল। আর এই ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা সড়ক চাষাড়া থেকে সোজা আসলেও তা কোন যুক্তিতে নীট কনসার্ণ গার্মেন্টসের সামেন এসে তা আঁকাবাঁকা হচ্ছে কার স্বার্থে ।
ভুক্তভোগীদের অনেকেই আরো বলেন, ‘দেখেন আমাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনও বিচ্ছিন্ন করেছে। আমাদের ক্ষতি হয়েছে মেনে নিচ্ছি বৃহৎ স্বার্থে । কিন্তু এই কর্মকান্ডর নেপথ্যে কি রয়েছে তা খোজ নেন । এই উচ্ছদ বিতর্কিত উচ্ছেদ হয়েছে । আমার চাই স্বচ্ছতা।
Discussion about this post