No Result
View All Result
‘ব্রিজ করতে বাইরে লাগে ছয়-সাত হাজার ডলার। আমার দেশে লাগে ত্রিশ হাজার ডলার। এটা কী মগের মুল্লুক নাকি। সরকারি কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। এ বলে তুই বেশি খেয়েছিস ও বলে তুই বেশি খেয়েছিস। পানির দাম, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। ওরা বলে তেলের দাম বাড়াব না আন্তর্জাতিক বাজারের দামে ছেড়ে দেব। এত দিনে কেন। আমার নেত্রী কী দেশ চালায়নি, ভর্তুকি দেয়নি। তখন কি দাম বেড়েছিল ? বাড়েনি।’এভাবেই শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উপস্থিত হয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন ।তিনি বলেন, ওরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলিনি, এটা শিল্পমন্ত্রী বলেছেন। দেশের জনগণ এই লুটপাটের কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে, আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। সরকারের বোধোদয় হয়নি।
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় না করলে উন্নয়ন হবে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা রেখে দুটো ব্রিজ করলে উন্নয়ন হয় না। আগে পেটের ভাত তারপর উন্নয়ন। যে উন্নয়নের চেয়ে বেশি নিজের পকেটের উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই।
তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আপনাদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিলেন। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবার আগে ছিল জামায়াতের। আজ তাদের নাকি আবার আপস হচ্ছে শুনলাম। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া চাইলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন, তিনি যদি চাইতেন। আর আপনারা কী করলেন। শত শত মানুষকে গুম করলেন, হত্যা করলেন। এভাবে একটা দেশ কখনো চলতে পারে না।তিনি আরো বলেন, এখনো সময় আছে মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নয়তো পরে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা কিভাবে পালাবেন চিন্তাভাবনা করেন। আপসে গেলে যান, জোর করে পালাতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। যারা গুম হয়েছে তাদের বাবা-মা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফসহ অনেকেই বক্তব্য দিলেও জনসভায় আগত বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নানাভাবে শহীদ মিনারে বিশৃংখলতার সৃষ্টি করে। ঘটায় গাতাহাতি ও চেয়ার ছুড়ে মারামারির ঘটনা।
Discussion about this post