সাবেক স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত মোসা. ফরিদা ইয়াসমিনকে বুধবার বিকেলেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছাদ বেগম।
এমনটি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) ।
সিদ্ধিরগঞ্জে সারোয়ার নামের এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসা. ফরিদা ইয়াসমিনসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেপ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- সারোয়ারের সাবেক স্ত্রী মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন (২৮) ও সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা আমেনা ওরফে রহিমা বেগম (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সারোয়ার দুবাই প্রবাসী ছিলেন। বিদেশ থাকাকালে ফরিদার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোবাইলেই তারা বিয়ে করেন। তবে কিছুদিন পরে সারোয়ার দেশে ফিরে জানতে পারেন ফরিদার আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। ওই পরিবারে দুটি সন্তান আছে। এসব তথ্য জানার পর সারোয়ার ফরিদাকে তালাক দেন।
এর জেরে ১৬ এপ্রিল রাতে ফরিদা সারোয়ারকে কথা আছে বলে মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লার হাজী শামসুদ্দিন স্কুলের পাশে রহিমা বেগমের বাসায় ডেকে নিয়ে যান। বাসায় যাওয়ার পর ফরিদা তাকে লাচ্ছি ও কেকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। একপর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সারোয়ারের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন।
তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ফরিদা ও রহিমা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সারোয়ারের বাবা মো. বাবুল প্রধান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, বিশেষ অঙ্গ কাটার ঘটনায় সারোয়ারের সাবেক স্ত্রীসহ দুজনকেই গ্রেফতার করেছি। দুপুরে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।
Discussion about this post