নিহত যুবকের নাম মহিউদ্দিন (২২)। সে চানপুর এলাকার মৃত হাবিবুল্লাহ’র ছেলে। অন্যদিকে ঘাতক একই এলাকার মোস্তফা কাজীর ছেলে মাহিন কাজী (১৮)।
তারা উভয়েই মসজিদে এতেকাফে বসেছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক।
মসজিদে এতেকাফরত মুসুল্লিরা জানায়, এতেকাফে বসার স্থান নিয়ে বিরোধ তৈরী হয় মাহিন ও মহিউদ্দিনের। এনিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ছিলো মাহিন। মসজিদের ভেতরেই তাদের ভেতর তর্ক হয়।
বৃহস্পতিবার সেহেরীর পর ফজরের নামাজ পরে সবাই ঘুমাতে গেলে মাহিন ফল কাটার ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে মহিউদ্দিনের উপর। এলোপাতারি কুপিয়ে পালিয়ে যায় সে। মহিউদ্দিনের চিৎকারে আশেপাশের মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভিক্টোরিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। এই ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিনের পরিবার বাদী হয়ে মাহিনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পরপরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মহসীন। বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মহিউদ্দিন।
পুলিশ পরিদর্শক মহসীন বলেন, ‘হত্যার কারণ এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট না। আমরা জেনেছি ভুক্তভোগী ছেলেটি খুবই ভালো। আর মাহিন মাদকাসক্ত। নেশাদ্রব্য থেকে বাঁচাতে তাকে মসজিদে নিয়মিত নামাজ কোরআন পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এতেকাফে বসার পর কিছু নিয়ে মহিউদ্দিনের সাথে মাহিনের বিরোধ তৈরী হয়। একই সাথে মাহিন নেশাদ্রব্য না পেয়ে মানসিকভাবে উত্তেজিত ছিলো। সেই কারণেই খুন করার মত ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। আমরা শুনেছি মহিউদ্দিন ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অফিসিয়ালি কাগজপত্র হাতে আসলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নিবে।’
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০ রমজান চাঁনপুর এলাকার মাইনুদ্দিন ও মাহিম কাজীসহ চার যুবক বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইতিকাফে বসেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে চারজনের মধ্যে একজন মসজিদের ছাদে যান। মসজিদের ভেতরে মাহিম কাজী অবস্থান করছিলেন ও মাইনুদ্দিনসহ অপর দুজন ঘুমিয়েছিলেন। এ সুযোগে মাহিম ধারালো ছুরি দিয়ে মাইনুদ্দিনকে আঘাত করেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মারা যান। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Discussion about this post