সারাদেশে তীব্র গরমের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৈদ্যুতিক পাখার চাহিদা। এ সুযোগকেই কাছে লাগিয়ে নির্ধারিত মূল্যের থেকে অতিরিক্ত দামে ফ্যান বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আর এমন মাত্রাতিরিক্ত বাণিজ্য করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে দেখ যায় নাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্যান্যরা ।
ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি, কালীরবাজার, বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভিন্ন পইকারী ও খুচরা পর্যায়ে অতিরিক্ত মূল্যে বৈদ্যুতিক পাখা বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিক্রেতাদের অধিকাংশরাই। শহর ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সর্বত্রই এমন অধিক মুণাফা করতে অসাদু ব্যবসায়ীরা আদাজল কেয়ে মাঠে নেমেছে ।
গত কয়েক দিনের মতো মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে শহরের বিভিন্ন বাজারে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এমন নগ্ন প্রতিযোগিতার চিত্র দেখা যায় প্রতিদিনই।
নগরীর ওষুধ ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে বাড়ীর জন্য আরো দুইটা বৈদ্যুতিক পাখা কিনতে ডিআইটির প্রায় সকল দোকানে ঘুরে এতটুকু বুঝতে পারছি, এরাও সিজনাল ব্যবসা করতে সিন্ডিকেট করে মাঠে নেমেছে । যে পাখার মূল্য সাধারণতঃ সাড়ে তিন হাজার টাকা সেই পাখা সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার নিম্নে কেউ বিক্রি করতে চাইছে না । এ সময় চার্জার ফ্যানের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য গত এক সপ্তাহে দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে মারাত্মক। বৈদ্যূতিক পাখার দোকানেও যেন ঈদের আমেজে বেচাকেনা করছে দোকানীরা। সুযোগ মতো অসাধু প্রায় সকল ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী বাড়তি দামে ফ্যান বিক্রি করছে । আর এমন কান্ডে নারায়ণগঞ্জ ভোক্তা অধিকারসহ অন্যান্য সংস্থার আইনশৃংখলা বহিনী যেন কঠের চশমা পরে নগরীতে অসাধু ব্যবসায়ীদের পর্যবেক্ষন করছে ।
Discussion about this post