রূপগঞ্জে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে স্কুল থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভুলতা এলাকার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান সজিব (১৬) উপজেলার গোলাকান্দাইল ইনিয়নের বলাইখা গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে।
আহত তিনজন হলো- রিপতি, অনিক, শিমুল। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও সহপাঠিরা জানায়, আজ ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষার মডেল চেষ্টা পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষ হলে সজিব ক্লাসের বাইরে বের হলে তাকে মাঠে নিয়ে যায় সহপাঠিরা। মাঠে যাওয়ার পরপরই তারা সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মেহেদী হাসান সজীব ও একই ক্লাসের সাকিব হাসান নামের আরেক জন প্রেম নিবেদন করে। আর সেই ছাত্রীকে দুইজন পছন্দ করা নিয়ে মেহেদী হাসান সজীবের একটি পক্ষ ও শাকিব হাসানের আরেকটি পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই দুই পক্ষের মধ্যে শুক্রবার বিকেলে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে শনিবার দুপুরে স্কুলেরই কয়েকজন শিক্ষর্থী মেহেদিকে স্কুলের ভেতর থেকে ডেকে স্কুলের বাইরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের মাঝে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান সজীবের পক্ষ ও শাকিব হাসানের পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় মেহেদী হাসান সজীবকে ছুরিকাঘাত করা হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় রিপতি, অনিক, শিমুল নামের আরও তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার স্কুলে ঘটবে কল্পনাও করিনি।’
রূপগঞ্জ থানার ওসি/তদন্ত আতাউর রহমান বলেন, ‘স্কুলের সামনে মেহেদী হাসানকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিন কিশোরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে । এ ঘটনায় কয়েকজন কিশোরের নাম আমরা পেয়েছি। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ) আবির হোসেন জানান, প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ও হত্যা জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে ।
Discussion about this post