মাদকের জোয়ারে ভাসছে নারায়ণগঞ্জ । এমনটি আবরো প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জে ডিবি পুলিশের একটি দল । কোথায় নেই মাদক ? জেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক । সর্বত্র যেন মাদকের ছড়াছড়ি ।
এবার ডিবি পুলিশের “গ” জোন ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মোস্তাক আহম্মেদ, এসআই তাপস কান্তি রায়, এসআই সেলিম মাহবুব, এএসআই রিপন বিশ্বাস ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল এলাকা হইতে রাত পৌনে তিনটায় মাদক ব্যাবসায়ী রবিন (২৮) ও আরমান খান (২৫) কে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি পুরিমের এমন অভিযানের খবর পেয়ে এই মাদক ব্যবসার হোতা রাসেল ও মিজান পারিয়ে যায় ।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী রবিনের বসতঘর হইতে ৯৬০ ক্যান বিয়ার অথবা ৪০ কেইস বিয়ার উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হইয়াছে।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে শহরের চিহ্নিত মাদক কারবারীরা নগীর নিতাইগঞ্জ, তামাকপট্টি, ক্রাইমজোন জিমখানা রেলওয়ে ও র্যালী বাগান, টানাবাজার, বাবুরাইল তাতীপাড়া, দেওভোগ, গলাচিপা, আমলাপাড়া, চাষাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের বিশাল মজুদ করেছে আগামী ঈদকে সামনে রেখে।
এরই মধ্যে মদ বিয়ারের বিশাল মজুদ সম্পন্ন করেছে আমলাপাড়ার সুজিত নামের এক শীর্ষ মাদক কারবারী ।প্রতি বছরের ন্যয় এবারো প্রশাসনের অসাধু কর্তাদের ম্যানেজ করেই সুজিত নগরীর সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বিনা বাধায়। এই সুজিত নগরীর একটি ক্লাব, ফতুল্লার মেরী এন্ডারসনসহ এলিট পট্টি হিসেবে পরিচিত সর্বত্র নিষিদ্ধ মদ বিয়ার বিক্রি শুরু করেছে পাইকারী দরে ।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই সুজিত নিজেকে নানা পরিচয় দিয়ে মাদকের বিমাল পাইকারী কারবার চালিয়ে আসলেও প্রশাসনের অসাধুদের ম্যানেজেই চলছে রমরমা ব্যবসা। সুজিতের এমন মাদক কারবারে দিপক নামের এক সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তা নপথ্যে থেকে সকল কলকাঠি পরিচলনা করেই যাচ্ছে ।
এমন অপরাধীদের সকল কর্মকান্ড নস্যাৎ করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর আন্তরিকতাই যথেষ্ট বলে মনে করেন নগরবাসী ।
Discussion about this post