‘বিএনপির ভাই কিংবা অন্য যারা আছে দলে সবাইকে বলবো মারামারি কাটাকাটি আমার দরকার নেই। আসেন সবাই মিলে কাজ করি। নারায়ণগঞ্জটাকে সুন্দর করি। নারায়ণগঞ্জের উন্নতি করি। আর যদি মারামারি করেন আমরাও তো মানুষ। আমাদের যদি একবার অতীতের কথা মনে পড়ে যায় যেভাবে আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে মারছেন বাড়িঘরে হামলা করছেন আবার এখন এত বড়াবাড়ি করে কথা বলছেন একবার যদি মনে পড়ে যায় তাহলে পুলিশ-পালিশ বাদ দেন সব আমি জানি আমার কতটুকু ক্ষমতা। যদি একবার বলি ধর তাহলে আপনাদের চৌদ্ধ গোষ্ঠী কেউ থাকতে পারবে এ দেশে। আমি জানি কিন্তু। বয়স হয়েছে ধৈর্য বাড়ছে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি বিচার করার মালিক আল্লাহ।’
এভাবেই শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
সারাদেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘উনি (তারেক রহমান) নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন না। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নিউজ আছে, তারা প্রয়োজনে তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের পর্যন্ত হত্যা করবে। তারা যেকোনো প্রয়োজনে লাশ চাচ্ছে। তারা নির্বাচন করতে চায় না, নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। কারণ জনগণ তাদের সাথে নাই।’
তিনি বলেন, বিএনপি ‘আম্মা ও ভাইয়া’ গ্রুপে বিভক্ত বলে মন্তব্য করেন শামীম ওসমান। ‘আম্মা গ্রুপ নির্বাচন করতে চায়। ভাইয়া গ্রুপ নির্বাচন করতে চান না। যেকোনোভাবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য গেম চলছে।’
তিনি বলেন, আমার কোনো মাস্তান দরকার নেই। দোকানদার দোকান আর এখানে গিয়ে চাঁদাবাজি করবে আমার দরকার নাই। আমি আমার গাড়ির আগে মোটরসাইকেল চলতে দেই না। আমি জানি আমি যাবো মোটরসাইকেল দিয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে যাবে পরে গিয়ে দোকানদারকে থাপড় দিবে। কষ্ট করবো আমি থাপড় দিয়ে সব শেষ করে দিবো।
কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম, সহ সভাপতি গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমেন সিকদার, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, সহ প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজন, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন কবির, ইমতিয়াজ হোসেন আরান ও তানিল আহম্মেদ প্রমূখ ।
Discussion about this post