নগরীকে বসবাসযোগ্য ও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত একাধিক প্রকল্প পরিদর্শনে যান জাপানের রাষ্ট্রদূত। এরপর দুপুরে নগর ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।
সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।
নাসিক সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভায় নাসিকের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জকে ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ গড়ে তোলার রূপরেখা উপস্থাপন করেন নাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ। এ ছাড়া চলমান বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পার্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, পানি ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। উত্থাপিত প্রকল্পের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
আলোচনা সভায় জাপান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে জাপান অংশীদার হতে সর্বদাই আগ্রহী। নারায়ণগঞ্জ সিটির সঙ্গেই সর্বপ্রথম জাপানের নারুতো সিটির মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি হয়। শুধু উন্নয়ন প্রকল্পেই নয়, নারায়ণগঞ্জ থেকে মানবসম্পদ, ক্লাইমেট চেঞ্জ কার্যক্রমে অগ্রসর হতে চাই আমরা। এই বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব ভূমিকা রাখার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদারত্বে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়েও আমরা আন্তরিক রয়েছি।’
সভায় নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘জাপান আমাদের অনেক পুরোনো বন্ধু। জাপানে মানবসম্পদ পাঠানোর জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে জাপানি ভাষা শিক্ষাসহ আনুষঙ্গিক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন কার্যক্রমে জাপান আরও অনেক ভূমিকা রাখবে।’
এর আগে, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে রয়েছে জালকুড়ি বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিএনডি লেক, আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার, শেখ রাসেল পার্ক, বাবুরাইল খাল।
Discussion about this post