এবার কি বলবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রধান (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, পিপিএম (বার) ? সম্প্রতি নানা সভা সমাবেশে পুলিশের নানান দূর্ণামসহ আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বুধবার ২৫ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জের এক সমাবেশে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ভূমিদস্যুদের পাহারা দেয়।”
এমন মন্তব্য ছাড়াও প্রকাশ্যেই রেকার বিলের নামে পুলিশ প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আদায় হচ্ছে নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায়। যা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। আর এমন রেকার বিলের নামে নৈরাজ্যের কারণে পুলিশের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পেশার নাম ব্যবহারকারী প্রতারকচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে । পুরিশ জিম্মি হয়ে পরার ফলে ওই নামধারী প্রতারকচক্রের স্টিকার বাণিজ্য বন্ধ করতে পারছে না কঠোর আন্দোলনের পরও।
অসংখ্য অপরাধের মধ্যেও এবার খোদ নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিচয় দানকারী ইন্সপেক্টর এমদাদের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অপরাধের অভিযোগ। তিনি নিজে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার নিয়োগ দিয়ে পুরো নগরীতে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
জেলা শহরের সর্বত্র এমন ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার নিয়োগ ছাড়াও সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও বন্দর, ফতুল্লা এলাকায় মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ইন্সপেক্টর এমদাদের বিরুদ্ধে । যা অসংখ্যবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও কোন অবস্থাতেই কর্ণপাত করে নাই পুলিশ সুপারের দপ্তর।
ফলে ইন্সপেক্টর এমদাদের মাসোযারা আদায় চলছে পুরোদমেই। এমন ঘটনায় খোদ পুলিশের অনেকেই বলেছেন, “ইন্সপেক্টর এমদাদের খুঁটির জোড় খুব পোক্ত। নইলে এতা অভিযোগের পরও কি করে এমন অপরাধ করেই যাচ্ছে ?”
এতা অপরাধের পর গত ১১ জানুয়ারী স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সদর উপজেলার ফতুল্লার মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলীর পুত্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর হাতে আসা অভিযোগ এবং জেলা পুলিশের কয়েকজনের বক্তব্য থেকে আরো জানা যায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দর উপজেলার দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের পাশে মোহাম্মদ হাসান ডিজেল ব্যবসা করে আসছিলো । এই ব্যবসার কারণে প্রতি মাসে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর এমদাদ । প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা করে মাসোয়ারা আদায় করে আসছে। এমন মাসোয়ারা আদায়ের পরও ইন্সপেক্টর এমদাদ তার দোকানের শিশু কর্মচারী বিল্লাল (১৩) ও সাকিল (১৪) কে গ্রেফতার ও দোকান বন্ধ করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়। পরবর্তীতে দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করলে ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ, ফরিদ, ধামঘর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মিলিত হয়ে দোকানে এসে ডিবি ওসি এমদাদ ওরফে তৈয়ব এর কথা বলে আরো ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবী কৃত টাকা না দেয়ায় ফের বাড়িতে বেড়াতে আসা দুইজন মেহমান (আত্মীয়) আক্তার ও রেজাউলকে আটক করে এনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ডিবি পুলিশের ওসি পরিচয় দানকারী ইন্সপেক্টর এমদাদ ও তার সহযোগিরা প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার মাসোযারা আদায় করে আসছে। কোন ব্যবসায়ী মাসোয়ারা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করেই যাচ্ছে ডিবি পুলিশ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে ইন্সপেক্টর এমদাদ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নাই । চাকরী করলে অভিযোগ হয়। এটা অস্বভাবিক কিছু না ।
এমন ঘটনায় ভূক্তভোগি ছাড়াও খোদ পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা বলেন, “ জেলা পুলিশের দূর্ণাম সৃষ্টিকারী এই চক্রের বিষয়ে কি বলেন পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, পিপিএম (বার) তা এখন দেখার বিষয় ।
Discussion about this post