নারায়ণগঞ্জের শিল্প কারখানা কি পরিমাণ বিষাক্ত বর্জ্য নদী নালা ডোবায় ফেলে পরিবেশ মারাত্মক আকার ধারণে করেছে তার খবর সকলেই জানলেও জানেন না শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। মাস শেষে কোটি টাকার মাসোয়ারায় ই খুশি এই দপ্তরের অসাধুরা। তাতেই তৃপ্তির ঢেঁকুর দেন ওই চক্র। অবমুক্ত হওয়া পোনা মাছ ই মরিয়া প্রমাণ করিলো শীতলক্ষা নদী বিষাক্ত হয়ে গেছে। এবার কামান ও ট্যাংক নিয়ে আসবে আমাদের নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্লজ্জ উচ্ছিষ্টভোগী মহাজনরা। যাদের কাছে মাসোয়ারা তোলার লিজ দেয়া হয়েছে এই নারায়ণগঞ্জকে ।
নারায়ণগঞ্জের প্রায় প্রতিটি নিষিদ্ধ ইটভাটা, কল, কারখানা, ডাইং, পলিথিন ফ্যাক্টরীসহ সর্বত্র চষে বেড়ায় শুধু মাসোয়ারা আদায় করতে । যার ফলাফল সকলেই জানলেও এবার আবারো প্রমাণ হলো বিএনপির মাছের পোনা অবমুক্ত করার কর্মসূচী পালনের কারণে। কতটা বিষাক্ত শীতলক্ষার নদীর পানি তার প্রমাণ মিলেছে সকলের সামনে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর করছে টা কি ? এমন উল্লেখিত মন্তব্য ও প্রশ্ন ছিলো উপস্থিত জনতার
শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে মাছের পোনামাছ অবমুক্ত করেছেন মৎস্যজীবী দলের নেতারা। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সব মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠে। পানির ঢেউয়ে কিনারে চলে আসা মরা পোনাগুলো তুলে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষ্যা নদীর নবীগঞ্জ ঘাট এলাকায় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
আরও উপস্থিত ছিলেন- সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আনোয়ার প্রধানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
কিন্তু কর্মসূচি শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানের মধ্যেই সব পোনা শীতলক্ষ্যার পানিতে ভেসে ওঠে। বিকেলে নদীপাড়ে গিয়ে দেখা, পানির ঢেউয়ে মরা ও আধমরা পোনাগুলো কিনারে মাটির সঙ্গে ভেসে উটেছে । স্থানীয়রা ছোট ছোট মাছগুলো ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
স্থানীয় নৌকার মাঝি হাসান বলেন, ‘শীতল্যক্ষ্যার এ পানিতে পোনা তো দূরের কথা বড় মাছও বাঁচতে পারে না। শুধু শুধু মাছগুলো ছেড়ে গেছে। মাছ ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। যেখানে বাঁচবে সেখানে ছাড়লে ভালো হতো।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা আল মামুন বলেন, ‘শীতলক্ষ্যার এ পানিতে সাপই বাঁচে না। মাছ কী করে বাঁচবে। যারা মাছগুলো ছেড়ে গেছেন তাদের বোঝা উচিত ছিল, এখানে মাছ বাঁচতে পারবে না। তাদের এ কর্মসূচির কোনো লাভ নেই।’
জসিম নামে আরেকজন বলেন, ‘শিল্প-কারখানার দূষিত বর্জ্য ফেলায় নদীর পানি দূষিত হয়ে কালো বর্ণের রঙ ধার করেছে। এখন আর এ পানিতে কোনো মাছ পাওয়া যায় না। দুর্গন্ধের কারণে পানির কাছেই আসা যায় না। মাছ কী করে থাকবে।’
কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আমরা মৎসজীবী দলের পক্ষ থেকে শীতলক্ষ্যায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেছি। কিন্তু পোনাগুলো বাঁচবে কিনা আল্লাহ জানে। পানি দূষিত হলেও সরকার বা প্রশাসনের কোনো নজর নেই।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আনোয়ার প্রধান বলেন, ‘এটি আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল। শীতলক্ষ্যার পানি দূষিত হওয়ায় মাছগুলো মরে গেছে। আমরা ভবিষ্যত নিয়েও শঙ্কায় আছি।’
Discussion about this post