সাধারণত রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার বয়স্ক চালকদের টার্গেট করতো চক্রটি। এরপর যাত্রী সেজে চালককে একটি স্থানে নিয়ে যেত। সেখানে নিয়ে চালককে মারধর, প্রয়োজনে হত্যা করে ছিনতাই করা হতো অটোরিকশা।
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে সিএনজি চালক আলী হোসেনকে (৬০) হত্যা করা হয়। সবশেষ এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি বাঘাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রাজধানীর শনির আখড়া ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন তারাবো থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন নুর হোসেন ওরফে বাঘা (৪৩), লিংচাঁন ওরফে নীলচাঁন মিয়া (৩৫) এবং মো. আ. মান্নান ওরফে মন্নান (৩৫)।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে আলী হোসেন যাত্রী পরিবহনের জন্য মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এসময় অজ্ঞাতনামা চারজন মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেটের সামনে যেতে ৩৫০ টাকায় সিএনজি ভাড়া করেন।
এরপর সিএনজিচালক আলী হোসেন তাদের নিয়ে মাতুয়াইল রওয়ানা দেন। রাত ২টায় সাইনবোর্ডের মদিনা চত্বর এলাকায় এলে আলী হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন ওই যাত্রীরা। এসময় আলী হোসেন চিৎকার করলে তাকে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান চক্রটির সদস্যরা। তবে আশপাশের মানুষ আল আমিন নামের একজনকে ধরে ফেলেন।
র্যাব জানায়, ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আল আমিনকে আটক করে।
এরপর আলী হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গ্রেফতার আল আমিনের তথ্য মতে র্যাব-১০ এর একটি দল ২০ জানুয়ারি রাতে শনির আখড়া থেকে প্রথমে বাঘাকে গ্রেফতার করে। এরপর বাঘার দেওয়া তথ্যমতে রূপগঞ্জের তারাবো থেকে গ্রেফতার করা হয় নীলচাঁন মিয়া ও মন্নানকে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি সুইজ গিয়ার চাকু ও ১২টি টাই ক্যাবল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, এই চক্রটি বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাই করে আসছিল। চক্রটি রাতে বয়স্ক ও দুর্বল চালকদের টার্গেট করে তাদের অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যেত।
গ্রেফতাররা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
Discussion about this post