নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার দাপায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রবিউল হাসান ও রাতিন নামক দুই স্কুল ছাত্রকে স্কুল গেইট থেকে অপহরণের পর বেদম মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে।
আহত দুই ছাত্র ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেনীর ছাত্র।
এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার দাপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায়।
এঘটনায় আহত স্কুল ছাত্র রবিউল হাসানের বড় ভাই সোহাগ বাদী হয়ে শামীম বাহিনীর প্রধান শামীমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আহত স্কুল ছাত্র রবিউলের মুখে ছয়টি সেলাই করা হয়েছে।
জানা গেছে, শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম, মুন্না, বাইতুল, ইমন, নয়নসহ বেশ কিছু বখাটেরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচারণ, অকারণে মুঠোফোনে ছবি তোলা, পথরোধ করা সহ নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিলেন।
এতে চরম বিরক্ত হয়ে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান ও রাতিন সহ বেশ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করে।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫ টায় কোচিং শেষ করে বাসায় যাবার পথে স্কুলের পূর্ব গেইটে আসা মাত্র তাদের কে একটি মাঠে তুলে নিয়ে যায় শামীম সহ অপর সন্ত্রাসীরা। সেখানে নিয়ে গিয়ে কাঠের টুকরো দিয়ে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি ভাবে পেটায়। এতে শরীরের মুখ- মন্ডলসহ একাধিক স্থানে রক্তাক্ত জখম করে।
এমন ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পরলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ও অভিভাবক ব্যপক ক্ষোভের সৃস্টি হয়। তারা অপরাধীদের দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছে।
Discussion about this post