নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের তীব্র যানজটের কারণে প্রায় ৩০ মিনিট ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম আটকে থাকার কারণে যথা সময়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল জালকুড়িতে পৌঁছাতে দেরী হয় ফায়ার কর্মীদের। যানজটে আটকে না পরলে আরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো কমানো যেতো। যেহেতু ট্রাফিক পুলিশ আর ফাযার সার্ভিস এক মন্ত্রণালয়ের অধিনে তাই কোন মন্তব্য আর করলাম না। শুধু এটুকুই বলবো, “ট্রাফিক পুলিশের কারণে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও অনেক রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সও প্রায়ই আটকা পরে থাকে । ছোট্ট এই শহর নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কে কাকডাকা ভোর থেকে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চলছে মধ্যরাত পর্যন্ত । প্রকাশ্যে ট্রাফির পুলিশের এমন চাঁদাবাজি দৃশ্য সকলের চোখে পরলেও অমানবিক কর্মকান্ডের চিত্র চোখে পরে না জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের । অথচ কন্ট্রোল রুমে সিসি ক্যামেরায় পুরো শহরের চিত্র দেখা যায় । যা দুঃখজনক।”
এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়া একজন ফায়ার কর্মী। যিনি তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন
জানা যায়, জালকুড়িতে কেমিক্যাল ও ঝুটের গুদামে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় চারটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৭টায় হঠাৎ আগুন দেখা যায়। ধীরে ধীরে আগুন বড় হতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
Discussion about this post