চার বছর পর আবারও চালু হলো মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জে নৌরুটে ফেরি সার্ভিস।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কাজীপুরা ঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনটি ফেরি ঘাটে প্রস্তুত থাকবে এবং ফেরিগুলো একদিন পরপর পর্যায়ক্রমে চলবে। চাহিদা বাড়লে পর্যায়ক্রমে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে এই নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু করা হলেও নদীর দুই পাড়ের সড়কের বেহাল দশার কারণে কাঙ্ক্ষিত যানবাহন না থাকায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এবার নদীর দুই পাড়ের সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধি এবং মানোন্নয়নের কারণে এ পথে যোগাযোগ আগের চাইতে অনেক বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুততর হবে। ফলে যানবাহনের সংখ্যা আগের চাইতে অনেক বেশি বাড়বে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন এই রুটের ফেরি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
জামাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে শিমুলিয়া ঘাটের কর্মকর্তারা এই রুটে ফেরি পরিচালনা করবেন। বর্তমানে তিনটি ফেরি এ রুটে সব সময় প্রস্তুত থাকবে। একটি ছোট ফেরি ভিআইপি যাত্রীদের জন্য ও দুইটি মিনি ইউটিলিটি ফেরি একদিন পরপর পর্যাক্রমে চলবে। এরপরেও যদি যানবাহন বেশি থাকে তাহলে ফেরির সংখ্যা বাড়তে পারে।
তিনি আরও জানান, এই নৌরুটে বড় বাসের টোল হবে ১২০০ টাকা, মিনি বাস ৮১০ টাকা, ৮-১১ টনের বড় ট্রাক ৮৪০ টাকা, ৫-৮ টনের ট্রাক ৭০০ টাকা, ৩-৫ টনের ট্রাক ৫৫০ টাকা, মিনিট্রাক ৪৯০ টাকা, মাইক্রোবাস ৪২০ টাকা, পিকআপ ৪০০ টাকা, প্রাইভেটকার ৩৫০ টাকা, অটোরিকশা ১২০ টাকা, মটর সাইকেল ৬০ টাকা, বাইসাইকেল ৪০ টাকা ও যাত্রী শেণিভেদে ১৫ টাকা ও ৩০ টাকা।
এদিকে, চার বছর পর পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু করায় স্থানীয়ভাবে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসি যুগ্ম সচিব ও কারিগরি ও প্রশাসন পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম,গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিনহাজ-উল- ইসলাম প্রমুখ।
Discussion about this post