“২৫ বছর ধরে বহু কষ্ট করে সন্তানকে গড়ে তুলেছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন। ছেলের মৃত্যুতে তাঁদের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এই যে মেধাবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে, তাহলে তো কোনো মা–বাবা তাঁদের সন্তানকে বুয়েট বা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয় পাঠাবেন না। এই হত্যাকাণ্ডে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিচার হোক।”
ময়নাতদন্ত শেষে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ নেয়ার সময় বাবা কাজী নূর উদ্দিন কান্নাজড়িত কন্ঠে আজ (৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে এমন মন্তব্য করেছেন।
গতকাল (৭ নভেম্বর) সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ফারদিনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, ফারদিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ছেলের যখন ময়নাতদন্ত চলছিল তখন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা কাজী নুর উদ্দিন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন মৃত্যু মা–বাবা হিসেবে কীভাবে মেনে নিই ? আমি তো আমার ছেলেকে ফেরত পাব না।
Discussion about this post