বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে (২৪) হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ এস কে ফরহাদ এমন মন্তব্য করেছেন।
আরএমও ডাঃ শেখ ফরহাদ বলেন, ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
অবশ্যই এটি হত্যাকাণ্ড বলেও মন্তব্য করেছেন ডাঃ এস কে ফরহাদ
এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বনানী ঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ফারদিনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফারদিন নারায়ণগঞ্জের দেউলপাড়া কুতুবপুরের নয়ামাটি এলাকার কাজী নুরুদ্দীন রানার ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার ডেমরার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। পরশ বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, সোমবার বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখে আমরা নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশকে জানাই। নৌ পুলিশ নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি ব্যবস্থার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, নিহত ফারদিন ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের পর ভিকটিমের বাবা কাজী নুরুদ্দিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Discussion about this post