অপরাধীদের দৌড়াত্ম যেন কোন অবস্থাতেই থামছে না। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সকল ধরণের অপরাধ যেন আঁকড়ে ধরেছে সর্বত্র। এমন অসংখ্য ঘটনার পর এবার রূপগঞ্জে জ্বালানী তেলের দোকানে ডিাকাতি করতে এসে বাধার মুখে পরে ডাকাত সদস্যদের হামলা ও ছুরিকাঘাতে রাশেদ মিয়া (২৪) নামে এক জ্বালনী তেল ব্যবসায়ী খুন হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
রাশেদ ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর এলাকার আলাউদ্দিন ফিডারের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরীয়া স্ট্যান্ডের পাশেই জ্বালানী তেলের ব্যবসা করতেন রাশেদ। সোমবার গভীর রাতে একদল ডাকাত সদস্য তার দোকানে লাখ লাখ টাকা আছে এমন ধারনা থেকে দোকানের ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। এ সময় ডাকাত সদস্যরা “টাকা কই লুকিয়ে রাখসস, টাকা দে।” বলে মারধর করতে থাকে। টাকা চাওয়ার পর দিতে অস্বীকার করে চিৎকার করলে ডাকাত সদস্যরা রাশেদকে প্রথমে কিল ঘুষি, থাপ্পর দিয়ে চিৎকার থামাতে বলে এবং টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফের ডাকাতদের বাধা দিলে রাশেদকে ছুরিকাঘাত করে নাড়িভুঁড়ি বের করলে রাশেদ গুরুতর আহত অবস্থায় আবারো ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকলে লোকজন এগিয়ে আসার দৃশ্য দেখে ৬/৭ জন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায় ।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ডিকেএমসি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরে তাকে ঢাকা কলেজ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ দিকে স্থানীয় এক তেল ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, তারা সবাই স্থানীয় অপরাধী । তারা সব সময় চুরি, ডাকাতি , ছিনতাই করে টাকা-পয়সা লুটে নেয়। না দিতে চাইলে মারধর করে। রাত ১০টার পর থেকেই তাদের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। আমরা বিদেশি মানুষ তারা কারা তাদেরকে চিনি না।
তবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, এই ডাকাত দলের সদস্য রাজন, শিশির, উজ্জল, রুহুলসহ তাদের সাথে আরো কয়েকজন এই মবিল ও তেলের দোকানে হামলা চালায় । তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা ভলার সাহস নাই । খোজ নিয়ে দেখেন এই রাজন, শিশির, উজ্জল, রুহুলের সাথে আরো ৬/৭ জন এশিয়ান হাইওয়ে ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কে হোন্ডা, টেক্সী, মাইক্রো, হাইস নিয়ে প্রতিনিয়তঃই ডাকাতি করে। আর এই ডাকাত দলের মূল হোতা রাজন, শিশির, উজ্জল, রুহুলের সাথে ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে প্রায় রাতেই আড্ডা চা নাস্তা খেতে দেখা যায় । ফলে এই ডাকাতদের সাথে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
এই ব্যবসয়ী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে আরো বলেন, ভূলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান পুরো এলাকায় এমন ডাকাতির ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন । এই ঘটনাকে কখনো ছিনতাই আবার কখনো পারিবারিক কলহের কারণে খুন হতে পারে বলে ডাকাতির ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করতেছেন । ছিনতাইয়ের ঘটনা তো ঘরের ভিতরে ঘটে না। আবার পারিবারিক ঘটনা কি করে ঘটে ? মৃত ব্যাক্তির সাথে কি করে এই ডাকাতদের সম্পর্ক থাকতে পারে ।
এমন ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় এই রিপোর্ট লেখাকালীন সময় সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের না হলেও এরই মধ্যে ডাকাত সদস্য উজ্জাল ও শিশির গ্রেফতার করলে তাদেরকে ছাড়াতে নানাভাবে চেষ্টা চেরছে বলে গুঞ্জন রয়েছে ভূলতা এলাকায় ।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় এমন ডাকাতি ও খুনের বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই ।
Discussion about this post