নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চোরাইকৃত ২শ ২০ লিটার জ্বালানি তেল ডিজেলসহ চোরাই তেল চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় চোরাই তেল ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কাঞ্চন সেতু এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বিরাব এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুম মিয়া (৩১) ও একই এলাকার আহাদ মিয়ার ছেলে শামীম (২০)।
আটকের পর মাসুম মিয়া বলেন, “আমরা এখানে একশ /দুইশ লিটার তেল কিনে আবার বিক্রি করি । আমাদের কোন বিক্রি করার লাইসেন্স না থাকায় আমাদেরকে চোর বলে আটকাইলো। আর সিদ্ধিরগঞ্জ আর ফতুল্লায় প্রতিদিন – প্রতি রাতে হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করতেছে আশরাফ আর আফসুর মতো বিশাল তেলচুরির হোতারা । সেই আশরাাফের সাথে থানার ওসি এক সাথে ছবি তুইল্লা আবার ফেসবুকেও দেয় । ওইখানে কোন দোষ হয় না। আমরা পেটের দায়ে এই অল্প তেল কিনে বিক্রি করি তাতেই আমরা চোর। আর ফতুল্লা আর সিদ্ধিরগঞ্জের প্রকাশ্যে চুরির কারবার হইলেও তা কোন পুলিশ দেখার সাহসও করে না। কোন দারোগা যেন ওই সিদ্ধিরগঞ্জ আর ফতুল্লার তেলের ডিপোর (যেখানে তেল চুরি হয়) সামনে না যায় সেই জন্য ওসির কড়া হুকুমও আছে ! এই হইলো আমাদের দেশ । দেন আমাগো জেলে দেন ! পুলিশের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করতে থাকেন আটককৃত মাসুম।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঞ্চন সেতু এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই চোরাই তেল ডিজেলসহ মাসুম মিয়া ও শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় চোরাই তেল ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা চোরাই তেল ডিজেল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে চোরাই তেল ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। চোরাই তেল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃতদের নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post