নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পারিবারিক কলহের জের ধরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুই গৃহবধূ খুন হয়েছে ।
একজনকে গলাকেটে ও অপরজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তাদের স্বামীরা।
রূপগঞ্জে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আমলাব এলাকায় বৃষ্টি আক্তারকে গলাকেটে হত্যা করেন তার স্বামী ইমন গাজী।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ইমনকে আটক করে পুলিশ।
নিহত ২২ বছর বয়সী বৃষ্টি আক্তার নবাবগঞ্জের ভাগুলিয়া গ্রামের জনু মোল্লার মেয়ে। নিহতের স্বামী ইমন গাজী (৩০) বরিশালের ইউনিুস গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তারা রূপগঞ্জের আমলাব এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন।
রূপগঞ্জ থানার ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবেশীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির সাথে তার স্বামীর ঝগড়া চলছিলো। শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন ইমন। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। ওই সময় বৃষ্টির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে স্বামী ইমন গাজীকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে।
এদিকে একই উপজেলার মৈকুলী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আরেক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা পর স্বামী আবদুল্লাহ চৌধুরী পালিয়ে গিয়েছেন।
নিহত ২৩ বছর বয়সী জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিসপুরে। রূপগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ দুই গৃহবধূ খুনের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, ভোর তাদের দুইজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘরে ফিরে আসেন এবং স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামী অবদুল্লাহকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
উপপরির্দশক সবুজ মিয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে জান্নাতুল ও আবদুল্লাহ বিয়ে হয়। আবদুল্লাহ আগেও একটি বিয়ে করেন এবং বিয়ের বিষয়টি স্ত্রীর কাছে গোপন রাখেন। এসব নিয়েই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিলো।
Discussion about this post