বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ভোলার চরফ্যাশনে পাতিহাঁসের কালো ডিম পেড়েছে। এ নিয়ে উৎসুক জনতা তো বটেই, দেশের প্রাণিবিজ্ঞানীদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এমন ঘটনায় একদিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চার পা যুক্ত মুরগীর সন্ধান পাওয়া গেছে । যা নিয়ে শুরু হয়েছে হুলুস্থুল
মো: সহিদুল ইসলাম শিপু: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে
এক মুরগির চার পা দেখা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর বাবুপাড়া এলাকায় পোলট্রি মুরগি ব্যবসায়ী মনির মিয়ার দোকানে চার পা বিশিষ্ট এই ব্রয়লার মুরগি টি দেখতে পায়। মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে খবর টি।
আর এই চার পা যুক্ত মুরগী টি এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা দোকানে ভিড় জমান।
জানা গেছে, মনির মিয়ার বাড়ি বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকায়। বাবুপাড়া মোড়ে তার মুরগির দোকান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার তিনি খামারিদের কাছ থেকে শতাধিক ব্রয়লার মুরগি কিনে দোকানে তোলেন।
শুক্রবার দোকানের খাঁচা থেকে মুরগি বিক্রির সময় তিনি একটি মুরগির চারটি পার দেখে ঘাবড়ে যান।
পরে এক দোকান দুই দোকান ঘুরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তোলপাড় শুরু হয়।
শুক্রবার সন্ধায় ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায় ব্রয়লার প্রজাতির ওই মুরগির স্বাভাবিক দুটো পায়ের পাশ দিয়ে ছোট আকৃতির দুটো পা বের হয়েছে।
দোকানি মনির মিয়া জানান, অনেকদিন ধরেই মুরগির ব্যবসা করছি। কিন্তু কখনো চার পা বিশিষ্ট মুরগি চোখে পড়েনি। মুরগিটির কেনো চারটি পা হলো এটি আমার মাথায় আসছে না। তবে এই মুরগি দেখতে বাইরের লোকজনের ভিড় করায় বেচাকেনায় একটু সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. সরকার আশরাফুল ইসলাম জানান, জন্মগত ত্রুটির কারণে মুরগিটির চারটি পা হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই মুরগি খাওয়া যাবে, এটা খেলে কোনো সমস্যা হবে না। মুরগি ছাড়া মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও জন্মগত ত্রুটির কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
Discussion about this post