“সরকার ও তার মন্ত্রীরা আগুন নিয়ে খেলছেন। এভাবে খেলতে থাকলে সরকারের পরিণতি শুভকর হবে না। প্রধানমন্ত্রীর একটি ‘আয়নাঘর’ আছে। যেটা এখন মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়নাঘরে অনেকে আটকে থেকে ফোন নম্বর দিচ্ছেন। কিন্তু দেশের গণমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারছে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা ভয়ে।”
এভাবেই সরকার ও সরকারের মন্ত্রীদের নিয়ে কটোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ।
নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা ও আহত করা এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচি শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন ।
রিজভী বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা যখন বলবেন বাম দিক থেকে আসবেন, তখন আমাদের বুঝতে হবে তিনি ডান দিক থেকে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ঘেরাও করতে আসলে চা খাওয়াবেন। অথচ পরদিন ভোলাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তার উল্টো হবে। তিনি হলেন, উল্টো কথার জননী, উল্টো কথার মা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘে কাঁদেন। আমরা অনেক বাংলা সিনেমাতে দেখেছি কাঁদার জন্য গ্লিসারিন দেয়। আমার মনে হয় তাঁর ব্যাগে গ্লিসারিন থাকে। সেটা মেখে তিনি কাঁদেন। অথচ শাওনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাঁদে না। শাওন তো বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সামনের সারিতে ছিলেন। শাওন তো বীর। প্রযুক্তির যুগে আজ সব প্রকাশ হয়। পুলিশের একজন কর্মকর্তার প্রকাশ্য গুলিতে শাওন মারা গেছেন। প্রশাসনকে বলবো সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে লাভ হয় না। একদিন সব বিচার হবে।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জে আসার সময় অনেকেই আমাকে বলেছেন জায়গাটি ভালো না। এ শহরের মানুষ ভালো। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। তবে দুষ্ট চক্র প্রত্যেকটি স্থানেই থাকে। এরাই শীতলক্ষ্যায় মানুষের পেটে ইট ঢুকিয়ে হত্যা করে। তারা ত্বকীর মতো ছেলেকে হত্যা করে। প্রশাসন মনে করেছে শাওনের মত একজনকে হত্যা করলেই বিএনপি ভয় পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রশাসন জানে না বিএনপি পুলিশের গুলির মুখেও মাথা উঁচু করে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে এসময় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post